
ঢাকা: বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে মোবাইল সিম নিবন্ধনের শেষ দিনেও তা করেননি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মোবাইল ফোন ব্যবহার করলেও খালেদার নিজের নামে কোনো সিম নেই বলে জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং।
খালেদা জিয়ার নিজ নামে কোনো মোবাইল সিম নেই। ঘনিষ্ঠদের মোবাইলের মাধ্যমেই তিনি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন
বেগম জিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন কি না এ ব্যাপারে কোনো তথ্যই জানাতে পারেননি চেয়ারপারসনের প্রেস উইং-এর সদস্য শামসুদ্দিন দিদার এবং শাইরুল কবীর খান।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বেগম খালেদা জিয়ার নিজ নামে কোনো মোবাইল সিম নেই। ঘনিষ্ঠদের মোবাইলের মাধ্যমেই তিনি প্রয়োজনীয় ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
এ বিষয়ে প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান সোহেল বলেন, ‘খালেদা জিয়া মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন। তবে তার নিজের নামে কোনো ফোন আছে কি না তা আমার জানা নেই।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন প্রয়োজনে অফিসিয়াল ফোনে কথা বলেন। যেগুলো তার সহকারী ও স্টাফরা রাখেন।’
এদিকে, বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন না করা সিম-রিম বন্ধের প্রক্রিয়া শুরু করেছে মোবাইল ফোন অপারেটররা। বিটিআরসি জানায়, ৩১ মে মধ্যরাত পর্যন্ত ১০ কোটি ৮১ লাখ সিম-রিম নিবন্ধিত হয়েছে।
এতে অনিবন্ধিত প্রায় আড়াই কোটি সিম বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। বিটিআরসি’র নিয়ম অনুযায়ী, একটি সিম টানা ১৮ মাস বা ৫৪০দিন বন্ধ থাকলে, সেটির মালিকানা গ্রাহকের থাকে না।
এর মধ্যে ১৫ মাস বা ৪৫০ দিন পার হলে, সিম চালু করতে গ্রাহককে অনুরোধ জানায় মোবাইল অপারেটররা। এর ৯০ দিন পর, গ্রাহক সিমটি চালু না করলে অন্যদের কাছে তা বিক্রি করতে পারেন তারা।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী মঙ্গলবার রাত ১২টার পর থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে অনিবন্ধিত সব সিমের আউটগোয়িং কল। সিম পুরোপুরি অকার্যকর না করার সিদ্ধান্ত নেয়ার কারণে ইনকামিং কল চালু থাকবে আগামী আরো ৩/৪ দিন। অপারেটর ভেদে থাকবে ইনকামিং কলের মেয়াদের ভিন্নতা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আইকে/এসআই/ওয়াইএ