
ঢাকা: আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বি্এনপিকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইমলাম আলমগীর। বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার সংখ্যা এক লাখের বেশি ছাড়িয়ে গেছে। দলের শীর্ষ নেতাদের কারো বিরুদ্ধে মনে হয় ২৫ টির কম মামলা নেই। সরকার মিথ্যা মামলাকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে বিরোধী দলকে অকার্যকর করার চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার গণতন্ত্র ধ্বংসের লক্ষ্য স্থির করেছে। তারা বিরোধী দলকে পুরোপুরি নিস্তব্ধ করে দিতে চায়। এ জন্য তারা মামলাকে বড় অস্ত্র হিসেবে বেছে নিয়েছে। এর প্রধান কারণ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। জনগণের প্রতি তাদের কোনো আস্থা নেই।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে মামলায় রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে সে মামলায় তার নাম ছিল না। চার্জশিটের সময়ে তার নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তাকে গ্রেফতার ও হয়রানি করার উদ্দেশ্যই তার নাম অন্তর্ভুক্ত করেছে সরকার।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি অফিসের স্টাফরা স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারছেন না। গতকালকে একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ছাড়িয়ে আনা হয়। বিএনপির পল্টন অফিস ও গুলশান অফিস আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘেরাও করে রেখেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, সেলিমা রহমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, সাংগঠনিক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন জীবন, সহ-স্বেচ্ছাসেবা বিষয়ক সম্পাদক এবি এম মোশাররফ হোসেন, যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক, ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পাটোয়ারী প্রমুখ।
এর আগে সকালে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা পৃথক ৫টি মামলায় সিএমএম আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/আইকে/এসআই