
ঢাকা: বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘এ সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। তারা মানুষকে ভয় পাই, বিএনপিকে ভয় পায়। আর এ জন্যই তারা সমাবেশের অনুমতি দেয়নি।’
শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
পুলিশ ও প্রসাশনের মাধ্যমে টিকে আছে এ সরকার মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ মানুষকে এতটাই ভয় পায় যে, দলটির নেতারা বিএনপি অফিসে দাওয়াত দিতে আগে-পিছে ১০০ জন করে পুলিশ নিয়ে এসেছেন। রাজনৈতিক ভাবে আওয়ামী লীগ দেউলিয়া হয়ে গেছে।’
‘গণমাধ্যমে বিএনপির কথা তেমন আসে না’ এমন আক্ষেপও প্রকাশ করেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘সরকার একদলীয় শাসন কায়েম করতে চায়। সরকার প্রশাসনকে কব্জা করেছে, মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রণ করেছে। এ কারণে আমাদের কথা মিডিয়াতে সেভাবে আর আসে না।’
ফখরুল বলেন, ‘৭ নভেম্বর কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়। এটি সমগ্র বাংলাদেশের মানুষের অনুষ্ঠান। এই ৭ নভেম্বরে জাতিকে আবারো মুক্ত করা হয়েছে।’ ‘জিয়াউর রহমান স্বাধীণতার ঘোষক তা প্রমাণিত। কিন্তু আওয়ামী লীগ তা স্বীকার করতে চায় না। জিয়াউর রহমানকে আজ খলনায়ক হিসেবে উপস্থাপনের চেষ্টা চলছে’ বলেন বিএনপি মহাসচিব।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘দেশের মানুষ আজ অতিষ্ঠ। সরকারের কাছে গোটা জাতি এখন বিপদে আছে। এ দেশকে রক্ষা করতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।’
অনুষ্ঠানে মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ।
সম্পাদনা: ইয়াসিন