
ঢাকা: বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস এন্ড টেস্টিং ইন্সটিটিউশনের (বিএসটিআই) সার্টিফিকেশন মার্কস (সিএম) অটোমেশনের ফলে এখন থেকে বিএসটিআইর মান সনদ সম্পূর্ণ ডিজিটাইজেশন পদ্ধতিতে দেয়া হবে। আবেদনপত্র গ্রহণ থেকে শুরু করে সার্টিফিকেট প্রদান সকল কার্যক্রম হবে অনলাইনে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফার্মগেটে বাংলাদেশ কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে বিএসটিআইর সিএম অটোমেশনের উদ্বোধন করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।
বিএসটিআই মহাপরিচালক ইকরামুল হকের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোশাররফ হোসেন ভুঁইয়া, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের বাণিজ্য ও সক্ষমতা বিষয়ক উর্ধ্বতন অর্থনীতিবিদ এম.মাসরুর রিয়াজ, ডিএফআইডির বেসরকারিখাত উন্নয়ন সম্পর্কিত উপদেষ্টা মাসাররাত কাদের, সিন্হা বাংলাদেশ ট্রেড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী এ. মতিন এবং বিএসটিআইর পরিচালক (সিএম) রেজাউল করিম।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বিএসটিআইর মান সনদের জন্য অলাইনে আবেদন করা যাবে। আবেদন ফি এবং মার্কিং ফি ই-পেমেন্টের মাধ্যমে পরিশোধ করা যাবে। অনলাইনে মার্কিং ফি পরিশোধ করার সাথে সাথে আবেদনকারীর ই-মেইল এ সার্টিফিকেট পৌঁছে যাবে এবং আবেদনকারী মোবাইলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি পাসওয়ার্ড পাবেন। প্রাপ্ত পাসওয়াড ব্যবহার করে আবেদনকারী তার ই-মেইল থেকে সার্টিফিকেট ডাউনলোড এবং প্রিন্ট করতে পারবেন। পাশাপাশি কোনো পণ্য বিএসটিআইর সনদপ্রাপ্ত কিনা তা বিএসটিআইর ওয়েবসাইট থেকে পাবলিক সার্সিং এর মাধ্যমে ক্রেতা-ভোক্তা যাচাই করতে পারবেন।
এ সময় মন্ত্রী বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে নিতে আমাদের ২০২১ সাল লাগবে না। বরং ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দেশ মধ্যম আয়ে কাতারে পৌঁছে যাবে। কারণ দেশকে উন্নত করতে হলে দেশের অর্থনৈতিক ভীতকে শক্তিশালী করতে হবে। আর তা করতে এরই মধ্যে আমরা সক্ষম হয়েছি। আমার দেশে চীন-জাপানসহ বিভিন্ন দেশের বিনিয়োগ বাড়ছে। এরই মধ্যে জাপান কক্সবাজারে ৩৬ হাজার কোটি টাকার একটি প্রজেক্ট হাতে নিয়েছে। যেখানে জাপানের বিনিয়োগ হলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে আরো এগিয়ে যাবে। এছাড়া দেশের অভ্যন্তরেও বেসরকারি খাতকে এগিয়ে নিতে আমরা বিএটিআই এর মতো নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম আধুনিক অনলাইন ভিত্তিক করছি। যা আমাদের সময় ও অর্থ দুটোই বাঁচাবে।
সিনিয়র সচিব বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সরকারের এ যাবৎ সাফল্যের সঙ্গে বিএসটিআইর অটোমেশন সিস্টেমও যোগ হলো। এরফলে বিএসটিআইর কার্যক্রমের স্বচ্ছতা এবং গ্রহণযোগ্যতা অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে।
বিএসটিআই মহাপরিচালক বলেন, বিএসটিআইর ছয়টি উইং এর মধ্যে সিএম উইং এর অটোমেশন করা হলো। পরবর্তীতে বাকি উইংগুলোসহ বিএসটিআইর সামগ্রিক কার্যক্রম অটোমেশনের আওতায় আনা হবে। এর ফলে দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে সেবা গ্রহীতা সর্বোচ্চ সেবা পাবেন। অনলাইনের পাশাপাশি বিএসটিআইর ওয়ান স্টপ সার্ভিস সেন্টারের মাধ্যমে বিএসটিআইর যাবতীয় সেবা প্রদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
এম.মাসরুর রিয়াজ বলেন, এই অটোমেশনের ফলে বিএসটিআইর মান সনদ প্রদান প্রক্রিয়া আরো সহজতর হয়েছে। এর যথাযথ বাস্তবায়নের ফলে প্রাইভেট সেক্টর আরো বেশি উন্নত হবে। পাশাপাশি বিএসটিআইর সেবা পেতে সেবা গ্রহীতাদের সময় এবং খরচ উভয়ই কমে আসবে।
উল্লেখ্য, বিশ্বব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের (আইএফসি) আর্থিক ও কারিগরি সহায়তায় এ অটোমেশন কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
প্রতিবেদক্র: রিজাউল করিম, সম্পাদনা: জাহিদ