
ঢাকা: শ্রম আদালতে বিচার চাইতে গিয়ে একজন শ্রমিককে অনেক হয়রানীর মুখে পড়তে হয়। বিচারের বিলম্বের কারণে প্রতিকারের চেয়ে আর্থিক ক্ষতি অনেক ক্ষেত্রে বেশি হয়। বিচারের জন্য দিনের পর দিন ঘুরতে হয়। বিচারপ্রার্থী শ্রমিকদের এই হয়রানীকে বিচার নয়, বরং অবিচার আখ্যা দেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) আয়োজিত ‘শ্রমিকের অধিকার সুরক্ষায় শ্রম বিচার ব্যবস্থা : বিদ্যমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক সুপারিশ চূড়ান্তকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি। রাজধানীর ধানমণ্ডিতে বিলস সেমিনার হলে কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন হাবিবুর রহমান সিরাজ। বিশেষজ্ঞ মতামত দেন শ্রম আদালতের সাবেক চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আবদুল মান্নান।
কর্মশালায় বক্তারা মন্ত্রীর কাছে শ্রম আদালত বৃদ্ধি, দ্রুত বিচার নিস্পত্তি, বিচার প্রার্থীদের হয়রানী রোধে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান। তাদের বক্তব্যের সঙ্গে একমত পোষণ করে শ্রম ও কর্ম প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক বলেন, বর্তমানে শ্রম আদালতে বিচারের পরিবেশ অনেকাংশেই নেই। আমরা এই আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়নে বিজয়নগরে ২৫ তলা বিশিষ্ট শ্রম ভবন নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়াও তেজগাঁও এলাকায় একটি ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে।
অনিস্পন্ন মামলা নিস্পত্তি করতে আদালত বাড়ানোর উদ্যোগের কথা জানিয়ে মুজিবুল হক বলেন, গাজীপুর এবং নরসিংদী-নারায়ণগঞ্জে দুটি আদালত প্রতিষ্ঠার কথা বিবেচনা করছি। সিলেট ও রংপুর দুটি আদালত অনুমোদন হয়েছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফএইচ/জাই