
ঢাকা: বিচার বিভাগের স্বাধীনতা সুদৃঢ় করার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সব রকম সহযোগিতা করে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ‘আজকের বাস্তবতা হচ্ছে সরকার বিচার বিভাগের কোন বিচারিক কাজেই হস্তক্ষেপ করে না।’
বুধবার দুপুরে বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এবং সমপর্যায়ের জুডিসিয়াল কর্মকর্তাদের ১০ দিনব্যাপী এক প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে তিনি স্বল্প খরচে, স্বল্প সময়ে ও সহজে মামলা নিষ্পত্তির কৌশল প্রয়োগের পাশাপাশি মানসম্পন্ন বিচার নিশ্চত করার আহ্বান জানান। এছাড়া আইনি প্রক্রিয়া বা আইনি জটিলতা কিংবা মামলার দীর্ঘসূত্রিতার কারণে মানুষের মধ্যে জুডিসিয়ারি সম্পর্কে যাতে কোনো হতাশা বা বিরুপ ধারণার সৃষ্টি না হয় সেদিকে বিচারকদের খেয়াল রাখতে বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিচারকগণ মামলার প্রতিটি পর্যায়ে সততা, দক্ষতা, নিরপেক্ষতা ও আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করলে সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হবে এবং বিচার বিভাগের প্রতি সাধারণ মানুষের আস্থা আরো বৃদ্ধি পাবে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘বিচারকদের মাধ্যমে মানসম্পন্ন বিচার ব্যবস্থা নিশ্চিত করে দেশে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। এ লক্ষ্যে সরকার এরইমধ্যেই বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে এবং কিছু পদক্ষেপের বাস্তবায়নও সম্পন্ন হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের এ পথ পরিক্রমায় সমস্যা বা চ্যালেঞ্জও নিতান্ত কম নয়। দেশের আদালতসমূহে বিদ্যমান মামলাজটসহ বিচার ব্যবস্থার সমস্যাদি সম্পর্কে সরকার ওয়াকিবহাল এবং যথেষ্ট সচেতন। যুগের চাহিদার সঙ্গে তাল মিলিয়ে পুরনো আইনের পরিবর্তন-পরিবর্ধন-পরিমার্জন, আদালতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বিচারকের সংখ্যা বৃদ্ধি, অব্যাহত প্রশিক্ষণ, বিচারকদের পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর মাধ্যমে বিচার বিভাগের কাক্সিক্ষত সংস্কার কার্যক্রমকে সরকার আরো এগিয়ে নিতে চায়।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন ও বিচার বিভাগের সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবেদন: ফায়েজ, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ