
ক্যানবেরা: পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপের পাপুয়া নিউগিনিতে অবস্থিত শরণার্থীদের জন্য নির্মিত একটি আটক কেন্দ্র বন্ধ করে দিতে সম্মত হয়েছে অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়ার অর্থায়নে পরিচালিত ম্যানাস দ্বীপের এই বন্দী শিবিরে অভিবাসন প্রত্যাশী এবং শরণার্থীদের রাখা হতো।
বুধবার পাপুয়া নিউগিনির প্রধানমন্ত্রী পিটার ও’নিল এক বিবৃতিতে জানান, তিনি অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডুটনের সঙ্গে রাজধানী পোর্ট মোরসবিতে সাক্ষাত করেছেন। উভয় দেশই ম্যানাস দ্বীপের বন্দী শিবির বন্ধ করে দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছে। তবে কবে বন্ধ করা হবে সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো তারিখের কথা উল্লেখ করেননি তিনি।
এছাড়া বন্দীশিবিরের ৮৫৪ জন আশ্রয়প্রার্থীর ভবিষ্যত কি হবে তা এখনো স্পষ্ট নয়।
অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, অভিবাসন প্রত্যাশী কোনো মানুষ নৌকা দিয়ে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশের চেষ্টা করলে তাদের পথিমধ্যে আটক করা হয়। এবং পাপুয়া নিউগিনির ম্যানাস দ্বীপ অথবা প্রশান্ত মহাসাগরীয় নাউরু দ্বীপের বন্দী শিবিরে রাখা হয়।
ম্যানাস দ্বীপের বন্দী শিবিরে আভিবাসন প্রত্যাশীদের অনেকেই দীর্ঘ সময় ধরে বাস করছেন। এসব শিবিরে শিশুসহ অন্য বন্দীদের নির্যাতনের খবর পাওয়া গেছে। জাতিসংঘসহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই বন্দী শিবিরগুলির বিষয়ে ব্যাপক সমালোচনা করেছে।
ইন্দোনেশিয়া থেকে নৌকায় করে উত্তাল সাগর পাড়ি দেয়া অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর ঘটনা এড়ানোর জন্য, তাদের বন্দী শিবিরে রাখার নীতির প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করে অস্ট্রেলিয়া।
এর আগে নৌকায় করে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়ায় আসার পথে অনেকেই সাগরে ডুবে মারা গেছেন।
এদিকে গত এপ্রিলে পাপুয়া নিউগিনির সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, অভিবাসন প্রত্যাশী এবং শরণার্থীদের বন্দী শিবিরে রাখা অসাংবিধানিক।
অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার অভিবাসন মন্ত্রী ডুটন জানান, ম্যানাস দ্বীপের শরণার্থীদের অস্ট্রেলিয়ায় আশ্রয় দেয়া হবে না। হয় তাদের পাপুয়া নিউগিনিতে থাকতে হবে নতুবা নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি
প্রতিবেদন: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: জাহিদুল ইসলাম