
ঢাকা: জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, বিনা ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার বর্তমানে সংকটের মধ্যে আছে। তিনি বলেন, যে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশের স্বাধীনতা এসেছে সেই ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এর মাধ্যমে দেশের ক্ষমতার মালিকানা জনগণের কাছে বুঝিয়ে দিতে হবে।
স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন দিবস উপলক্ষে শুক্রবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জেএসডি আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ক্ষমতাসীনদের ইঙ্গিত করে ড. কামাল হোসেন বলেন, বাংলার মাটি কোনো স্বৈরাচারকে মেনে নেয়নি। তাই আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত। তিনি বলেন, আসুন, সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ দখলে নেব, গণতন্ত্রিক প্রক্রিয়ার মধ্যে নেব। সংবিধানের মধ্য থেকে ঐক্যের ভিত্তিতে দেশ শাসন করব।
তিনি আরও বলেন, জনগণ অসহায় বোধ করছে। কারণ তারা দেশের মালিক হিসেবে সরকারের কাছ থেকে যে শ্রদ্ধা পাওয়ার কথা তা পাচ্ছেন না। সংবিধানের সপ্তম অনুচ্ছেদে পরিষ্কারভাবে বলা আছে। একটা দিন সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে মালিকানা দিবস পালনেরও আহ্বান জানান কামাল হোসেন।
জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেন, ২৯ ও ৩০ ডিসেম্বর সরকার জনগণকে অপমান করেছে। আর ডিএনসিসি নির্বাচনে জনগণ সরকারের গালে থাপ্পড় মেরেছে। তবে এখন শুধু থাপ্পড় দিয়েই নিজেদের অধিকার ফিরে পাওয়া যাবে না। এর জন্য আন্দোলনে নামতে হবে। তাদেরকে বিদায় করতে হবে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্ট্রি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, জাতীয় পতকা উত্তোলন দিবস না হলে দেশের স্বাধীনতা ইতিহাস হতো না। এ রকম দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা উচিত। তবে রাষ্ট্র এখন এমন একপর্যায়ে চলে গেছে, স্বাধীনতা-সংগ্রাম এক ব্যক্তিকেন্দ্রীক হয়ে পড়েছে। এটা পৃথিবীর কোনো দেশের ইতিহাসে নেই।
নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না অভিযোগ করেন, ডিএনসিসির ভোটে কেন্দ্র ছিল ভোটারশূন্য। এই নির্বাচনের মাধ্যমে প্রমাণ হয়েছে– আওয়ামী লীগ মেধাশূন্য, কর্মীশূন্য ও মানুষের ভালোবাসাশূন্য।
জেএসডির সিনিয়র সহসভাপতি এম এ গোফরানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, জেএসডি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মালেক রতন প্রমুখ।
এম কে আর