
ঢাকা: বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাব্যতা যাচাই করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন চীনা ব্যবসায়ীরা। চীনের ইউনান প্রদেশের ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্সের সভাপতি ইউ ডিংচেং দেশটির ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের পক্ষে এ আগ্রহের কথা জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) এবং বাংলাদেশ সফররত চীনের ইউনান প্রদেশের ফেডারেশন অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স-এর ১৪ সদস্য বিশিষ্ট বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের মধ্যকার মতবিনিময় সভায় তিনি এ আগ্রহের কথা জানান।
ইউ ডিংচেং জানান, বাংলাদেশের চিকিৎসা খাত, ঔষধ, আবাসন ও নির্মান সামগ্রী খাতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা যাচাইয়ের জন্য তারা আগ্রহী। তিনি দুদেশের ব্যবসায়ীদের উৎপাদিত পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে বাংলাদেশ ও চীনের ব্যবসায়ীবৃন্দ কে যৌথ ভাবে চীন কিংবা বাংলাদেশ পণ্য প্রদর্শনীর আয়োজনের আহবান জানান।
ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত এ সভয় ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি হুমায়ুন রশিদ, সহ-সভাপতি খ. আতিক-ই-রাব্বানী, এফসিএ, পরিচালক এ কে ডি খায়ের মোহাম্মদ খান, আসিফ এ চৌধুরী ও চীনা ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ডিসিসিআই সভাপতি হোসেন খালেদ প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতির চাকাকে আরো গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশী উদ্যোক্তাদের সাথে ব্যবসায়িক কর্মকা- আরো সম্প্রসারিত করা প্রয়োজন।”
তিনি প্রতিনিধিদলের সদস্যবৃন্দ কে জানান, অবকাঠামো, ঔষধ, আবাসন, চামড়া, পর্যটন, জাহাজ নির্মান, তথ্য-প্রযুক্তি, তৈরি পোষাক প্রভৃতি খাতে বাংলাদেশে বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে এবং এ সুযোগ গ্রহণ করে চীনের উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহবান করেন তিনি।
ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, ২০১৪-১৫ অর্থবছরে চীনে বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানির পরিমান ছিল যথাক্রমে ৮২৩২ ও ৭৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যেখানে প্রতীয়মান হয় যে, চীন এবং বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ঘাটতি অত্যন্ত বেশি। ঢাকা চেম্বারের সভাপতি বলেন, সরকার ২০২১ সালের মধ্যে ২৪০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা চীনের উদ্যোক্তাদের এ খাতের বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ একটি সম্ভাবনাময় দেশ। তিনি বলেন, চীনের ব্যবসায়ীরা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করেছে এবং ভবিষ্যতে বিনিয়োগের এ ধারা অব্যাহত থাকবে।
প্রতিবেদন: রিজাউল করিম, সম্পাদনা: ময়ূখ