
অনলাইন ডেস্ক, ঢাকা;
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপরে বিবিসির তৈরি “ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোয়েশ্চেন” শিরোনামের তথ্যচিত্র টুইটার ও ইউটিউবকে তাদের সাইট থেকে সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ভারত।
দুই দশক আগে সংঘটিত ভারতের গুজরাটের বহুল আলোচিত দাঙ্গায় দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা নিয়ে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি নির্মিত ডকুমেন্টারি ‘ইন্ডিয়া : দ্য মোদি কোয়েশ্চেন’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ব্যবস্থা নিয়েছে দেশটির সরকার।
ইতোমধ্যে টুইটার ও ইউটিউব কর্তৃপক্ষকে বিবিসির এই ডকুমেন্টারির লিঙ্ক সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কেন্দ্রীয় সরকার। -বিবিসি, আল জাজিরা, এনডিটিভি
বিবিসির ডকুমেন্টারিতে বলা হয়েছে, ২০০২ সালে যখন ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সংঘটিত হয় তখন রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নরেন্দ্র মোদি। ভয়াবহ সেই দাঙ্গায় এক হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিলেন, যাদের বেশিরভাগই মুসলমান। মূলত হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একটি ট্রেনে আগুন লেগে ৫৯ জন নিহত হওয়ার পর সহিংসতা শুরু হয়েছিল।
দাঙ্গায় অংশগ্রহণ করা একজন ভিডিওটিতে দাবী করেছেন, ‘মোদি ভাই আমাদের তিন দিন সময় দিয়ে বলেছিলেন, যা করার করে নাও, ঠিক তিন দিন বাদে তিনি জানালেন ফিরে যাও’
বিবিসি ওই ডকুমেন্টারি অনুসারে, ব্রিটিশ তদন্ত দল দাবি করেছে— দাঙ্গার সময় মুসলমানদের ওপর টার্গেট করে সহিংসতা বন্ধ করার জন্য পুলিশকে কাজ করতে বাধা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদি।
এমনকি সূত্রের বরাত দিয়ে এতে বলা হয়েছে, দাঙ্গায় হস্তক্ষেপ না করার জন্য কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে নির্দেশও দিয়েছিলেন মোদি। তবে নরেন্দ্র মোদি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এবং ভারতের শীর্ষ আদালতের তদন্তের পরে ২০১২ সালে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এছাড়া এই অভিযোগ থেকে মোদিকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করে দায়েরকৃত আরেকটি পিটিশন গত বছর খারিজ হয়ে যায়।
ভিডিওতে মোদি আরএসএস সদস্য থেকে দিল্লি যাত্রার অনেক কিছুই তথ্য প্রমাণ সহ উঠে এসেছে, যা গণহত্যার প্রমাণের জন্য যথেষ্ট বলে দাবি করেছেন দেশটির মোদি বিরোধী রাজনৈতিক জোট।