
ঢাকা: বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করার লক্ষ্যে অত্যাধুনিক ফিল্টারিংয়ের ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে পান, স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহারের লক্ষ্যে ‘নগরায়নের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিদ্যালয়সমূহে ‘Advanced WASH situationsÕ র্শীষক প্রকল্প চালু করা হয়েছে রাজধানীর মহাখালীর ওয়ারলেস গেইটে টিএন্ডটি আদর্শ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে।
এইচএসবিসি ব্যাংকের অর্থায়নে, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের (ডাব্লিউএবি) বাস্তবায়নে এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ প্রকল্পটি চালু করা হয়। ফলে বিদ্যালয়টির প্রায় দুই হাজার ছাত্রী ও শিক্ষক-কমকর্তা-কর্মচারী এ সুবিধা পাবেন। বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বুধবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে প্রকল্পটি আনুষ্ঠানিকভাবে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিকট হস্তানান্তর করা হয়। গত বছরের এপ্রিল মাস থেকে এ প্রকল্পটির কাজ শুরু করা হয়।
অনুষ্ঠানে সাজেদা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক জাহিদা ফিজা কবির বলেন, এই প্রকল্পের আওতায় বিদ্যায়লটির প্রায় দুই হাজার শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কমকর্তা-কর্মচারী স্যানিটেন সুবিধা, বিশুদ্ধ খাবার পানিসহ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা পাবেন। এ ধরণের প্রকল্প ইতিমধ্যে রাজধানীর আরো একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে চালু হয়েছে। আগামীতে এই ধারা অব্যাহত রাখতে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও এই প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।
এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও ফ্রান্সোস ডি মারিকোর্ট বলেন, এই উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রসংশনীয়। এতে করে একদিকে ছাত্রীরা নিরাপদ ও বিশুদ্ধ খাবার পানি পান করতে পারবে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্য সচেতন হয়ে উঠবে। এইচএসবিসি ব্যাংক বাংলাদেশ এই প্রকল্পে অংশ নিতে পেরে গর্বিত।
ওয়াটার এইড বাংলাদেশের ফান্ডরাইসিং এবং লার্নিং ডাইরেক্টর ইমরুল কায়েস মনিরুজ্জামান বলেন, বৃষ্টির পানির অপচয়রোধ এবং নিরাপদ পানি পান করার লক্ষ্যে এই প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। যাতে করে বিদ্যালয়টির সংশ্লিষ্টরা এ প্রকল্প থেকে সুবিধা নেয়ার পাশাপাশি অন্যান্যদেরও এটি একটি উজ্জল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সুলতানা ফেরদাউস খান বলেন, এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জন্য এইচএসবিসি ব্যাংক, ওয়াটারএইড বাংলাদেশ এবং সাজেদা ফাউন্ডেশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধরণের প্রকল্প খুবই প্রয়োজন আমাদের। এতে স্বাস্থ্য সচেতনতার পাশাপাশি বিদ্যালয়ের সবাই নিরাপদ খাবার পানি পান করতে পারবে। অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্যে রাখেন গুলশান থানার মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. ওমিদুর রহমান এবং বিদ্যালয়টির ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য আইয়ুব আলী সরকার।
বিজ্ঞপ্তি, সম্পাদনা: জাহিদ