
স্পোর্টস রিপোর্টার: রোল বলের পথচলা খুব বেশী দিন আগের নয়। মাত্র ৬ বছর আগে প্রথম এ খেলার প্রচলন শুরু হয়েছিল ভারতে। অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্ব ব্যাপী খেলাটি ছড়িয়ে পড়ে এবং অর্ধশত দেশে শুরু হয় খেলোয়াড় তৈরির কাজ। ঐ বছরই বিশ্বকাপের প্রথম আসরের আয়োজন করে ভারত। এক বছর বিরতী দিয়ে দ্বিতীয় আসর বসেছিল কেনিয়াতে। আর ২০১৫ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের হয় ভারত। তৃতীয় আসরেই প্রথম রোল বলের মহাযজ্ঞে অংশ নিয়ে সপ্তম হয় বাংলাদেশ।
রোল বলে যাদের প্রাপ্তি এতো কম, সেই বাংলাদেশই এবার বিশ্বকাপের চতুর্থ আসরের আয়োজক হতে যাচ্ছে। আগামি শুক্রবার থেকে এবারের আসরের পর্দা উঠতে যাচ্ছে। পুরানা পল্টন মাঠে নব নির্মিত শেখ রাসেল রোলার স্কেটিং কমপ্লেক্সে পর্দা উঠবে ৪০ দেশের অংশগ্রহণে আয়োজিত এ বিশ্বকাপের। এবারই প্রথম এতো দেশ বিশ্বকাপে অংশ নিতে যাচ্ছে। স্বাগতিক বাংলাদেশসহ জাপান, কানাডার মতো দেশগুলোও অংশ নিতে বৃহস্পতিবারই ঢাকায় পা রাখবে।
অংশগ্রহণকারী ৪০টি দেশের মধ্যে ৩৯টি দেশ নিজেদের পুরুষ দল ও ২৯টি দেশ মহিলা দল গঠন করেছে। ব্যতিক্রম শুধু স্লোভেনিয়া। তাদের পুরুষ দল গঠন করা হয়নি। মহিলা দল নিয়েই ঢাকায় আসবে তারা। প্রায় ১৮ কোটি টাকা বাজেটের এ বিশ্বকাপ আয়োজন করে ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রাপ্তি খুব একটা হবে না। তবে জঙ্গী কিংবা নিরাপত্তার অজুহাত দেখিয়ে যেসব দেশ ক্রিকেট খেলতে বাংলাদেশে আসতে রাজী হয়নি, তাদেরকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়া যাবে- বাংলার মাটিতে নিরাপত্তার কোনো শংঙ্কা নেই।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ রোলার স্কেটিং ফেডারেশনের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘রোল বলের মাধ্যমে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নতুন দিগন্ত উম্মোচিত হবে। আয়োজনকে সার্বিকভাবে সফল করতে আমরা প্রস্তুত। নিরাপত্তার কোনো ঘাটতি নেই। এই বিশ্বকাপ সারা বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়াবে।’ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আহমেদ আসিফুল হাসান বলেছেন, ‘এ পর্যন্ত সপ্তম হওয়াই আমাদের সেরা সাফল্য। তবে এবার যেহেতু খেলা হচ্ছে নিজের মাঠে, তাই আমরা আগের চেয়ে ভালো ফল করতে চাই। আমরা প্রস্তুতি ম্যাচে ভারত ও নেপালকে হারিয়েছি।’
প্রতিবেদক: কবির, সম্পাদনা: ইয়াসিন