
ডেস্ক: শান্তির বার্তা নিয়ে বিগত দেড় বছর ধরে বিশ্বের প্রতিটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ ভ্রমণ করেছেন মার্কিন নারী পর্যটক ক্যাসি ডি পেকল। তার এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে তিনি বিশ্বের প্রতিটি দেশের মানুষের কাছেই শান্তির অমিয় বাণী পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি নতুন এক বিশ্ব রেকর্ডও করে ফেলেছেন। কম সময়ে বিশ্বের প্রতিটি দেশ ভ্রমণের রেকর্ড।
মাত্র ১৮ মাস ২৬ দিনে ক্যাসি ডি পেকল বিশ্বের ১৯৬টি দেশে ভ্রমণ করেছেন। আগের গিনেস রেকর্ডের অর্ধেকের কম সময়ে তিনি এসব দেশে ভ্রমণ সম্পন্ন করেন।
কলেজে প্রধানত পরিবেশ বিষয়ে পড়ালেখা করা ক্যাসি জানান, তিনি সবসময় উপলব্ধি করতেন বড় এবং মহৎ কোন উদ্দেশ্য ছাড়া বিশ্ব ভ্রমণ করা ঠিক নয়। ২০১৫ সালের জুলাইয়ে তিনি ভ্রমণ শুরু করেন। পর্যটনের মাধ্যমে বিশ্বে শান্তি স্থাপন করা সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক একটি সংগঠন ‘ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পিস থ্রু টুরিজম’(আইআইপিটি) শুভেচ্ছাদূত হয়ে তিনি টেকসই পর্যটনের জন্য প্রচারণা চালান।
অলাভজনক এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৮৬ সালে যাত্রা শুরু করেছিল। একই বছরকে জাতিসংঘ প্রথমবারের মত ইয়ার অব পিস বা শান্তির বছর ঘোষণা করে। পূর্ব এবং পশ্চিমের দেশগুলির মধ্যে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড উত্তরোত্তর বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে পরস্পরের সাংস্কৃতিকে বুঝার জন্য ১৯৮৬ সালকে ইয়ার অব পিস ঘোষণা দেয়া হয়।
ক্যাসি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া দেশ উত্তর কোরিয়ায়ও ভ্রমণ করেন। তিনি বেইজিংভিত্তিক একটি চীনা পর্যটক গ্রুপের সঙ্গে মাত্র তিন দিনের জন্য দেশটি সফর করেন। তিনি সেখানকার নিরাপত্তা রক্ষীকে নিজের মিশন সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি তাকে বুঝাতে চেষ্টা করেন যে যুক্তরাষ্ট্র এবং উত্তর কোরিয়ার সরকারের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক না থাকলেও তাদের ব্যক্তিগতভাবে দুজনের পরস্পরের শত্রু হওয়া উচিত নয়।
২৭ বছর বয়সি এই নারী বলেন, আমি শুধুমাত্র দেখাতে চেয়েছি আমরা বন্ধু হতে পারি এবং সহাবস্থান করতে পারি। সূত্র: সিএনএন
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: সজিব ঘোষ