
খুলনা: একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লেখক ও সাংবাদিক শাহরিয়ার কবির বলেছেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম আর সংবিধানের মাথার ওপর বিসমিল্লাহ ধর্মনিরপেক্ষ দেশ হতে পারে না।’
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এই বিসমিল্লাহ সংযোজন এবং কোরআন আইনমতো দেশ পরিচালনা করেছিলেন। আর এরশাদ সরকার এসে সংবিধানে রাষ্ট্রধর্ম ইসলামকে সংযোজন করেন।’
শনিবার একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে খুলনা বিএমএ মিলনায়তনে ‘ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও আজকের বাংলাদেশ শীর্ষক’ এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
দেশে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন করার দাবি জানিয়ে শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম থাকলে সেখানে সংখ্যালঘুরা সমান অধিকার ও তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে না।’
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালে সরকারে ৩ জন হিন্দু মন্ত্রী ছিল, কিন্তু ২০১৪ সালের এই সরকার মাত্র একজন হিন্দু প্রতিমন্ত্রী কেন? কেন একজন হিন্দুকে পূর্ণমন্ত্রী করা হলো না?’
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ওলামা লীগ দাবি করেছে, পাঠ্যপুস্তক হতে হিন্দু সংস্কৃতি বাদ দিতে হবে। এই দাবি এর আগে জামায়াত নেতা মুজাহিদ করেছিল। আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন হিসেবে কীভাবে এই দাবি করে সংগঠনটি।’
তিনি ওলামা লীগের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করারও দাবি জানান।
শাহরিয়ার কবির বলেন, ‘সামনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল। সেই কাউন্সিলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, বাংলাদেশ আওয়ামী মুসলিম লীগ হবে কি না সেটা ভেবে দেখার সময় এসেছে।’
সংগঠনের খুলনা শাখার সভাপতি ডা. শেখ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিচারপতি সামছুদ্দিন মানিক, কাজী মুকুল, প্রফেসর ড. অর্ণিবান মোস্তফা বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ইউনুস আলী ইনু।
আলোচনা সভার শুরুতে সংখ্যালঘু নির্যাতন ও আজকের বাংলাদেশ শিরোনামে একটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দৈনিক কালের কণ্ঠের খুলনা ব্যুরো প্রধান গৌরঙ্গ নন্দী।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/ওয়াইএ/জাই