
ঢাকা: বৃহস্পতিবার জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে মুক্তিযুদ্ধকালীন ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালনকারী উপ-রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এম. মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণ মন্ত্রী এ এইচ. এম কামারুজ্জামানকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’র দপ্তর সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যথাযোগ্য মর্যাদা ও গুরুত্বের সাথে শোকাবহ এ দিবসটি স্মরণ ও পালন করবে আওয়ামী লীগ। এ লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
৩ নভেম্বর ২০১৬ বৃহস্পতিবার
সকাল ৬-০০টায়: বঙ্গবন্ধু ভবন ও দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশের সর্বত্র সংগঠনের শাখা কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, কালো পতাকা উত্তোলন এবং কালো ব্যাজ ধারণ।
সকাল ৭-০০ টা: বঙ্গবন্ধু ভবনে জমায়েত এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ।
সকাল ৮টা: বনানী কবরস্থানে ১৫ আগস্টের শহীদ ও জাতীয় নেতাদের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
রাজশাহীতে জাতীয় নেতা শহীদ কামারুজ্জামানের কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ, ফাতেহা পাঠ, মিলাদ মাহফিল ও মোনাজাত।
বিকেল ৩টা: কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে স্মরণ সভা। স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমপি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী জনাব ওবায়দুল কাদের এক বিবৃতিতে আওয়ামী লীগের সকল জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন শাখা এবং সকল সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের নেতা-কর্মী-সমর্থক-শুভানুধ্যায়ী এবং সর্বস্তরের জনগণকে আগামী ৩ নভেম্বর যথাযথ মর্যাদা ও শোকাবহ পরিবেশে জেলহত্যা দিবস পালনের জন্য আহ্বান জানিয়েছেন।
গ্রন্থনা: ময়ূখ, সম্পাদনা: প্রণব