
এম কে রায়হান: রমজান আসতে আরও পাঁচ দিন বাকি। এরই মধ্যে নিত্য পণ্যের দাম বাড়ার প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। আর সেই দৌড়ে বেগুন সবাইকে পিছনে ফেলে সামনের সারিতে অবস্থান করছে।
বাজারে বেগুনের চাহিদা ও জোগান বেশি থাকার পরও বিভিন্ন অজুহাতে দাম বাড়াচ্ছেন বিক্রেতারা। গত এক সপ্তাহ আগে খুচরা বাজারে ৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বেগুন এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। গতকাল সোমবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে। দেশের প্রধান পাইকারি বাজার কারওয়ানবাজারে এক সপ্তাহ আগেও বেগুনের পাল্লা (পাঁচ কেজি) বিক্রি হয়েছে ১২০-১৩০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে তা বিক্রি হয় দাঁড়ায় প্রতি কেজি ৩০-৩৫ টাকা।
মিরপুরের এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, ‘রমজানে লম্বা বেগুনের চাহিদা বেশি। তাই বাজারে প্রতি কেজি লম্বা বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়। আর লম্বা বেগুনের ধাক্কায় অন্য বেগুনের দামও বেড়ে গেছে। গোল বেগুন ৪০-৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।’
গত সপ্তাহে লাগাতার বৃষ্টির কারণে কাঁচা সবজির পাশাপাশি বেগুনের ক্ষেতও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে- এমন দাবি করে বেগুনের সরবরাহ কমে যাওয়ায় পাইকারি ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের।
কিন্তু এমন অভিযোগ বরাবরের মত অস্বীকার পাইকারদের। কারওয়ানবাজারের পাইকারি বিক্রেতা স্বপন আলমগীর নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, ‘রমজান এলেই বেগুনের সঙ্গে সঙ্গে মরিচ, শসা, লেবুসহ বেশ কয়েকটি পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। রাজধানীতে রমজান মাসে বেগুনের চাহিদা প্রায় দেড়গুণ বাড়ে। কিন্তু গত সপ্তাহজুড়ে সারাদেশে বৃষ্টি হওয়ায় বেগুনসহ অন্যান্য সবজির খেত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ কারণে পর্যাপ্ত বেগুন না পাওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। এখানে আমাদের কোনো কারসাজি নেই।’
আরিফ নামের আরেক পাইকার নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, ‘কয়েকদিন পর সরবরাহ আরও কমে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। ফলে বেগুনের দাম আরও বেড়ে যেতে পারে।’
আর হঠাৎ এমন দাম বাড়ায় বিপাকে ক্রেতারা। মিলন নামের এক ক্রেতা নিউজনেক্সটবিডিকে বলেন, ‘রমজান এলেই নিত্যপণ্যের বারাটা যেন নিয়মে পরিণত হয়ে গেছে। সরকারের উদাসীনতার কারণে এই সমস্যার কোন সমাধানও হয় না। আর বিপাকে পরি আমরা সাধারণ মানুষ।’