
জিহাদ হোসাইন, ঢাকা: ঈদ উপলক্ষে রাজধানীর বোরকা ও হিজাব বিক্রেতারাও নতুন পণ্যের পসরা সাজিয়েছেন। নতুন ডিজাইনের বাহারি রঙের বোরকা, হিজাব কিনতে ক্রেতাদের ভিড়ও বেশ। নিউমার্কেট, এ্যালিফেন্ট রোডসহ বিভিন্ন এলাকার দোকান ঘুরে এমনটাই জানতে পেরেছে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম।
দোকানিরা জানালেন, ইসলামী শরীয়া অনুযায়ী পর্দা করতে, অর্থাৎ পুরুষদের সামনে মহিলাদের আপাদমস্তক ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত ঢিলেঢালা এ পোশাকের আদি ডিজাইনে বহু পরিবর্তন এসেছে। কারণ এখনকার নারীরা শুধু পর্দা করার উদ্দেশ্যে বোরকা, হিজাব ব্যবহার করছেন না। কালের তাগিদে ‘ফ্যাশনেবল’, ‘স্টাইলিস্ট’, ‘বডিফিটিং’ বোরকার পাশাপাশি এসেছে ‘সিঙ্গেল হিজাব’। তবে বোরকার ক্রেতাদের আজও মোটাদাগে তিন ভাগে ভাগ করা হয়; ‘সেমি লং, কোয়াটার আর লং’। আফগানি, ইরানি, পাকিস্তানীসহ দেশীয় বোরকা, হিজাবের চাহিদাও কম নয়।
আলাপ হয় মাল্টি ফ্যাশন হিজাব’র ম্যানেজার মোহম্মদ ইসমাইলের সাথে। নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে তিনি বলেন, ‘শুধু পর্দার জন্য নয়, এখন ফ্যাশনের জন্যও বোরকা, হিজাব কিনছেন অনেকে। যে কারণে এবারও ঈদ উপলক্ষে আমাদের ভালোই বেঁচাকেনা হবে আশা করছি।’ এক প্রশ্নের জবাবে ইসমাইল জানান, ‘স্টাইলিস্ট’ বোরকা, হিজাবের মূল ক্রেতা কিশোরী ও তরুণীরা। তবে এবার সবচেয়ে বেশি চাহিদা ‘সিঙ্গেল হিজাব’ –এর। সব বয়সী ক্রেতারাই এটি কিনছেন।
বোরকা গ্যালারি’র ডিজাইনার সেলিম হোসেন নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘ক্রেতাদের চাহিদা অনুযায়ীই বোরকা, হিজাবের ডিজাইন বদলাচ্ছে।’ এই দোকানেরই তরুণী ক্রেতা শারমিন আক্তার নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে ক্রেতাদের রুচি বদলাবে, এটাই স্বাভাবিক। তবু বোরকা বা হিজাব আজও শালীন পোশাক হিসেবেই চিহ্নিত।’
শারমিনের সাথে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক তরুণী বলেন, ‘দেশের আইন শৃঙ্খলার যা পরিস্থিতি, তাতে পর্দা না করে উপায় আছে? কয়েক দিন পর দেখবেন এগুলো শুধু মুসলিম নয়, সব ধর্মের বাঙালি নারীর প্রধান পোষাক হয়ে গেছে।’
এবারের ঈদ বাজারে এক হাজার ২০০ থেকে আড়াই হাজার টাকায় দেশি এবং আড়াই থেকে চার হাজার টাকায় বিদেশি বোরকা মিলছে। আর সিঙ্গেল হিজাব বা ওড়নার দাম দুইশ থেকে এক হাজার টাকা। বিক্রেতাদের আশা, ২০ রোজার পর বোরকা-হিজাবের বাজারও পুরো দমে জমে উঠবে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএইচ/এমআই/এসকে /এমএস