
ডেস্ক: মার্কিন পপ-তারকা প্রিন্স’র মৃত্যু ফেন্টানিল নামের একটি সিনথেটিক ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে হয়েছে বলে জানিয়েছেন তার চিকিৎসকরা। ব্যাথানাশক ওষুধটি হেরোইনের চেয়েও ৫০গুণ বেশি শক্তিশালী। সাধারণত কোনো সার্জারির পরে এই ওষুধ খেতে বলা হয়।
গায়ক প্রিন্সের মৃত্যুর প্রায় মাসখানেক পর তার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য জানা গেলো। গোয়েন্দারা ইতোমধ্যে একজন চিকিৎসককে প্রিন্স’র মৃত্যুর বিষয় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন, ‘এই চিকিৎসক ৫৭ বছর বয়সী প্রিন্সকে সপ্তাহে দুইবার দেখতেন’।
যে ব্যথানাশক ওষুধের অতিরিক্ত প্রয়োগে প্রিন্সের মৃত্যু হয়েছে সেটি প্রেসক্রিপশান দিয়ে কিনতে হয় এবং প্রিন্স’র কাছে এই ওষুধ ছিল বলে গত মে মাসেই জানিয়েছিল মার্কিন গণমাধ্যম।
পুলিশের তথ্য মতে, ড. মিশায়েল শুলেনবার্গ প্রিন্সকে ২০ এপ্রিল এই ওষুধটি নেয়ার পরামর্শ দেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ‘প্রিন্স নিজই ফেন্টানিল গ্রহণ করেন’। ২১ এপ্রিল ভোরে যুক্তরাষ্ট্রের মিনেসোটায় পেইসলি পার্ক স্টুডিওসের একটি লিফটের ভেতরে গায়ক প্রিন্স’র নিঃসাড় দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
তার মৃত্যুর পর সারাদুনিয়া থেকে তার ভক্তরা শোক, সমবেদনা ও শ্রদ্ধা জানায়। মার্কিন পপ-তারকা প্রিন্স সুরকার ও সফল সঙ্গীত রচয়িতাও ছিলেন। কর্মজীবনে তিনি ত্রিশটিরও বেশি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এমএস/এসজি