
ডেস্ক: নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে জয়ের জন্য সহজ লক্ষ্য পেলেও ব্যাটিং ব্যর্থতায় ম্যাচটিতে হেরে গেছে বাংলাদেশ। মিডঅর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে সব উইকেট হারিয়ে ২৫২ রানের লক্ষ্যে বাংলাদেশ স্কোরবোর্ডে জমা করতে পারে ১৮৪ রান। ফলে তাদের ৬৭ রানের হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে সফরকারী দলকে।
বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশের তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। প্রথমে ব্যাট করে নিউজিল্যান্ড সব উইকেট হারিয়ে ২৫১ রান সংগ্রহ করে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটসম্যানদের ধারাবাহিক আসা যাওয়ায় বাংলাদেশের ইনিংস ১৮৪ রানেই থেমে যায়।
২৫২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৩০ রানে তামিম ইকবাল আউট হন। এরপর ইমরুল কায়েস-সাব্বির রহমানের ব্যাটে এগুতে থাকে বাংলাদেশের স্কোর। তবে এরপর ২৭ রানের মধ্যে আরেও তিন উইকেট হারায় টাইগাররা। দলীয় ১০৫ রানে রান নিতে গিয়ে ভুল বোঝাবুঝির শিকার হয়ে ফিরে আসেন সাব্বির। ৪৯ বলে ৩৮ রান করেন এই ব্যাটসম্যান।
স্যান্টনারের বল ঠেলে দিয়েই রান নিতে চেয়েছিলেন ইমরুল। তবে সাড়া দেননি সাব্বির। তবে ততক্ষণে ইমরুল পৌঁঁছে গেছেন নন স্ট্রাইকিং প্রান্তে। পরে প্রান্ত ছোঁয়ায় আউট হয়ে ফিরে আসেন সাব্বির। এরপর লকি ফার্গুসনের দারুণ এক ইয়র্কারে বোল্ড হয়ে ফিরে আসেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দলীয় ১২৮ রানে সাকিবও ফিরে আসেন। ছয় রানের ব্যবধানে মোসাদ্দেকের উইকেটও হারায় লাল-সবুজের শিবির।
এরইমধ্যে ২৮তম ওভারে লকি ফার্গুসনকে চার মেরে ক্যারিয়ারের ১৩তম হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল। তবে এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনিও। দলীয় ১৩৬ রানে টিম সাউদির বলে ব্রুমকে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন দুবার জীবন পাওয়া এই ব্যাটসম্যান।
দলীয় ১৪১ রানে তানভীরকে ফিরিয়ে দেন শন উইলিয়ামসন। শেষের দিক নুরুল হাসান সোহান ও মাশরাফি কিছুটা চেষ্টা করলেও সেগুলো হার এড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত ছিল না। শেষ পর্যন্ত ১৮৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: নিউজিল্যান্ড: ৫০ ওভারে ২৫১/১০ (ব্রুম ১০৯, রঞ্চি ৩৫, নিশাম ২৮,উইলিয়ামসন ১৪, বোল্ট ১২; মাশরাফি ৩/৪৯, সাকিব ২/৪৫, তাসকিন ২/৪৫)
বাংলাদেশ: ৪২.৪ ওভারে ১৮৪/১০ (ইমরুল ৫৯, সাব্বির ৩৮, নুরুল হাসান সোহান ২৪, মাশরাফি ১৭, অতিরিক্ত ১৬; উইলিয়ামসন ৩/২২, বোল্ট ২/২২, সাউদি ২/৩৩)
ফল: নিউজিল্যান্ড ৬৭ রানে জয়ী।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: মাহতাব