
ঢাকা: দেশের মাটিতে ব্রাজিলের ফুটবল ইতিহাস সবসময়ই হতাশা আর লজ্জ্বার। ১৯৫০ সালের মারকানা ট্রাজেডি এখনো পুড়ায় ব্রাজিলের ফুটবল প্রেমীদের। সর্বশেষ ২০১৪ বিশ্বকাপের সেমিতে জার্মানীর সাথে ৭ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার ক্ষত এখনো না শুকালেও; ইতিমধ্যেই আরো একটি লজ্জার সামনে দাঁড়িয়ে আছে নেইমাররা। রিও অলিম্পিকের প্রথম দুই ম্যাচ ড্র করার পর শেষ ম্যাচের আগে ব্রাজিলকে চোখ রাঙাচ্ছে অলিম্পিক থেকে ছিটকে পড়ার সম্ভাবনা।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে হারলেই বিদায় নিতে হবে ব্রাজিলকে, ড্র করলে তাকিয়ে থাকতে হবে গ্রুপের অন্য দুই দলের ফলফলের দিকে। তবে জিতলে ব্রাজিলের জন্য পরের রাউন্ড নিশ্চিত। এমন অবস্থায় প্রথমবারের মত স্বর্ণ জয়ের স্বপ্ন নিয়ে মাঠে নামা নেইমারদের জন্য যথেষ্ট ভয়েরও। নিজেদের শেষ ম্যাচে বৃহস্পতিবার সকাল ৭ টায় ডেনমার্কের বিপক্ষে মাঠে নামবে নেইমার-গ্যাব্রিয়েলরা।
পাঁচবার বিশ্বকাপ ও তিনবার ফিফা কনফেডারেশন্স কাপ জিতলেও অলিম্পিক ফুটবলে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ সাফল্য রৌপ্য পদক। এবার ঘরের মাঠে সেই অধরা সোনা জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নেমেছিল নেইমার-গ্যাব্রিয়েলরা। তবে প্রথম দুই ম্যাচে গোল শূন্য ড্রতে অলিম্পিকের গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ার শঙ্কায় এখন স্বাগতিক দেশটি।
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাজিল মাঠে নামবে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকে ডেনমার্কের বিপক্ষে। অপরদিকে একই গ্রুপের ইরাক খেলবে ১ পয়েন্ট নিয়ে শেষে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। শেষ ম্যাচটা ইরাক জিতে গেলে ব্রাজিলকেও জিততেই হবে। শুধু তা-ই নয়, ইরাক যদি গোল করে ড্র করে (১-১ বা ২-২ এমন স্কোরে) ব্রাজিল গোলশূন্য করলেও বাদ পড়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে ব্রাজিলের জয় ছাড়া অন্য কিছু চিন্তা করার সুযোগ থাকবে না। এদিকে ইরাক ও ব্রাজিল নিজেদের শেষ ম্যাচটি জিতলে অবশ্য দুই দলই কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে। সেক্ষেত্রে বাদ পড়বে ডেনমার্ক।