
নয়াদিল্লি: ইসলাম ধর্মের সঙ্গে দাড়ি রাখার সম্পর্ক আদালতে প্রমাণিত না হওয়ায় ভারতীয় বিমানবাহিনীতে মুসলমানরা দাড়ি রাখতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। তবে যেসব ধর্মে দাড়ি রাখার বিধান রয়েছে কেবলমাত্র সেই ধর্মানুসারীদের এক্ষেত্রে ছাড় দেয়া হবে।
মুহাম্মদ জুবায়ের নামে বিমানবাহিনীর এক কর্পোরালের করা মামলায় আদালত এই রায় দেন। দাড়ি রাখার কারণে ২০০৫ সালে জুবায়েরকে বরখাস্ত করেছিল ভারতীয় বিমানবাহিনী।
পরবর্তীকালে বিমানবাহিনীর এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন মুহাম্মদ জুবায়ের। ইসলাম ধর্মের সঙ্গে দাড়ি রাখার আবশ্যকতা প্রমাণ করতে না পারায় বৃহস্পতিবার(১৫ ডিসেম্বর) ভারতীয় সুপ্রিম কোর্ট তাকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বহাল রাখার আদেশ দেন।
ভারতের প্রধান বিচারপতি টি এস ঠাকুরের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের সুপ্রিম কোর্টের একটি বেঞ্চ জানান, বিমানবাহিনীর মতো সুশৃঙ্খল একটি বাহিনীতে সমতা বজায় রাখার উদ্দ্যেশে দাড়ি গোঁফ রাখার যে নিয়ম জারি আছে, সেটা সবাইকেই মানতে হবে। কোনো নির্দিষ্ট ধর্মে বিশ্বাসীদের প্রতি বৈষম্যের জন্য এটি করা হয়নি।
ভারতীয় বিমানবাহিনীর নির্দেশিকা অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি ২০০২ সালের আগে যেসব মুসলিম বিমানবাহিনীতে দাড়ি-গোঁফ নিয়ে যোগ দিয়েছেন, কেবল তাদের দাড়ি রাখার অনুমতি দেয়া হয়। কিন্তু এই সময়ের পরে যেসব মুসলিম বিমানবাহিনীতে নিয়োগ পাবেন, তারা দাড়ি রাখতে পারবেন না। তবে শিখ ধর্মে যেহেতু দাড়ি, গোঁফ এবং লম্বা চুল রাখা বাধ্যতামূলক তাই এই ধর্মের অনুসারীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না।
উল্লেখ্য, ভারতীয় বিমানবাহিনীর ৪২৫ নম্বর ধারাতে বাহিনীর সদস্যদের চুল, দাড়ি, গোঁফ ছাঁটার নির্দিষ্ট নিয়ম দেয়া হয়েছে। সংস্থাটি বেশ কয়েকবার এই নিয়মাবলী পরিমার্জন করেছে। সর্বশেষ ২০০৩ সালে এটির পরিমার্জন করা হয়। এখানেই ধর্মীয় কারণে এই নিয়মের ছাড় দেয়ার কথা বলা হয়।সূত্র: বিবিসি
গ্রন্থনা: ফারহানা করিম, সম্পাদনা: জাহিদ