
চট্টগ্রাম: পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুর সন্দেভাজন খুনী কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা ভারতে ধরা পড়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে প্রতিবেশি দেশটিতে যোগাযোগ করার জন্য পুলিশ সদর দফতরকে অনুরোধ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
মঙ্গলবার একটি জাতীয় ইংরেজী দৈনিকের অনলাইন সংস্করনে মিতুর সন্দেহভাজন হত্যাকারী কামরুল ইসলাম মুসা ভারতে ধরা পড়েছে- এমন একটি সংবাদ প্রকাশ করা হয়।
এই সংবাদের বিষয়ে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভারতে একজন মুসা ধরা পড়েছে এই রকম একটি খবর জেনেছি, নিয়ম অনুযায়ী বিষয়টি খতিযে দেখার জন্য আমরা পুলিশ সদর দফতরে জানিয়েছি।’
‘এখন পুলিশ সদর দফতর বিস্তারিত জেনে ব্যবস্থা গ্রহন করবে, সেখানে আটক হওয়া মুসা মিতুর হত্যাকারী সন্দেহে আমরা যাকে খুঁজছি সেই মুসা হলে তাকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হবে’ যোগ করেন তিনি।
তবে ভারতের কোথায় কখন ‘এই মুসা’ ধরা পড়েছে এমন প্রশ্নের উত্তরে সিএমপি কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘এই ব্যাপারে আমরা বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি।’
মুসাকে সনাক্ত করার জন্য ভারতে পুলিশের কোন টিম গেছে কি-না? এমন প্রশ্নের জবাবে ইকবাল বাহার বলেন, ‘সিএমপি থেকে কেউ এখনো যায়নি, পুলিশের অন্যকোন শাখা থেকে কেউ গেছে কিনা তা আমার জানা নেই।’
গত ৫ জুন নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গি বিরোধী অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
এই ঘটনায় আটক হওয়া দুই আসামী ওয়াসিম ও আনোয়ার আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে জানায়, ‘মুসার পরিকল্পনানুযায়ী’ ও তদারিকতে মিতু হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়।
র্যাব ও পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুছা রাঙ্গুনিয়া উপজেলার মধ্যম ঘাগড়া গ্রামের বাসিন্দা শাহ আলম শিকদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা ও ডাকাতির অন্তত আটটি মামলা রয়েছে।
স্ত্রী পান্না শিকদার ইতিপূর্বে দু্ই দফা সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেছিলেন- ‘মুসাকে আইন- শৃংখলা বাহিনী বন্দর এলাকার একটি বাসা থেকে আটক করেছে।’
প্রতিবেদন: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: ময়ূখ ইসলাম, সজিব ঘোষ