
ঢাকা: জামায়াতে ইসলামির নতুন আমির মকবুল আহমাদের বিরুদ্ধে একাত্তর সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধে জড়িত থাকার প্রাথমিক তথ্য-প্রমাণ রয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হান্নান খান।
ধানমন্ডিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে তিনি একথা জানান।
হান্নান খান বলেন, “মকবুলের বিরুদ্ধে তদন্তে অগ্রগতি শুরু হয়েছে। তবে এখনই এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বলা যাবে না। মকবুলের নাম রাজাকার তালিকায় আছে। তার বিরুদ্ধে ৭-১১ জনকে হত্যার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়টি তথ্য-উপাত্তে স্পষ্ট। আমাদের কাছে এতদিন অভিযোগ ছিল না। একটি নিউজ পোর্টাল অনলাইনে করা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা তদন্ত শুরু করেছি। তবে এখনো প্রাথমিক তদন্ত চলছে।”
এদিকে ফেনী জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মীর আবদুল হান্নানের অভিযোগ, ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকার কমান্ডার ছিলেন মকবুল। তারই নির্দেশে ফেনীর স্থানীয় রাজাকার ও আলবদর বাহিনীর সদস্যরা ফেনী কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক ভিপি, তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়ন নেতা মুক্তিযোদ্ধা মাওলানা ওয়াজ উদ্দিনকে চট্টগ্রামে নিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নির্দেশে মকবুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধানে ফেনী যান ট্রাইব্যুনালের কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, মকবুল আহমাদের গ্রামের বাড়ি ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা উপজেলার পূর্বচন্দ্রপূর ইউনিয়নের ওমরাবাদে। পেশায় তিনি ছিলেন স্কুলশিক্ষক। ফেনী মডেল হাইস্কুলের শিক্ষকতা থেকে অবসরের পরই জামায়াতের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গ্রামের বাড়ি যাওয়া থেকে তিনি বিরত থাকেন। জামায়াতের সাবেক আমির মতিউর রহমান নিজামী গ্রেফতারের পর প্রায় ছয় বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি দলটির ভারপ্রাপ্ত আমিরের দায়িত্ব পালন করছেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: তাহের