
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে দেশের তিন চিকিৎসকের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব গৃহীত হয়। বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “ডা. এমআর খান, অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম ও ডা. আনোয়ারুল আজিমের মৃত্যুতে মন্ত্রিসভায় সোমবার শোক প্রকাশ করা হয়। সভায় তিন চিকিৎসকের মৃত্যুতে একটি শোক প্রস্তাব গ্রহীত হয়।”
উল্লেখ্য, দেশের চিকিৎসক সমাজ ৫ নভেম্বর একই দিনে প্রবীণ এ তিন চিকিৎসককে হারায়। প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই পৃথিবী থেকে সবাইকেই চিরবিদায় নিতে হয়। কিন্তু বেঁচে থাকার সময়ে কেউ কেউ নিজ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে মহান হয়ে ওঠে। যাদের মৃত্যুতে শুধু পরিবার-পরিজন নয়, গোটা রাষ্ট্রেই চলে শোকের মাতম।
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) দু’বারের সভাপতি ও ঢাকা মেডিকেল কলেজের (ঢামেক) সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. আবুল কাশেম ছিলেন দেশের চিকিৎসকদের নেতা ও তাদের অভিভাবকের মতো। রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার বিকেলে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয় প্রায় ৯৫ বছর।
জাতীয় অধ্যাপক ও শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ছিলেন অধ্যাপক ডা. এম আর খান। শিশুবন্ধু হিসেবে সুপরিচিত এ চিকিৎসক ছিলেন রাজনীতির ঊর্ধ্বে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ দেশের সব রাজনৈতিক দল ও মতের মানুষের কাছে তিনি ছিলেন শ্রদ্ধেয়। শিশুচিকিৎসায় সারাজীবন কাটিয়ে দেন। তার হাতের ছোঁয়ায় বহু জটিল রোগে আক্রান্ত শিশুর সুস্থ হয়ে ওঠার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে।
এছাড়া অধ্যাপক ডা. আনোরুল আজিম ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) ও ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্র্যাজুয়েট অ্যান্ড মেডিসিন রিসার্চের (আইপিজিএমআর) প্যাথলজি বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের