
ঢাকা: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে র্যাব যে নয়জন মানবপাচার চক্রের সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ওই চক্রটি এ পর্যন্ত গ্রেফতার হওয়া পাচারকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বড়। চক্রটির মূলহোতা আব্দুল হালিমকে ধরতে ইন্টারপোলের সহযোগিতা নেয়া হচ্ছে।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক (সিও) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ।
তুহিন মোহাম্মদ মাসুদ বলেন, এ পর্যন্ত যতগুলো মানবপাচার চক্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে এই চক্রটি সবচেয়ে বড়। চক্রটির মূলহোতা মালয়েশিয়ায় পালিয়ে আছে। তাকে গ্রেফতারে ইন্টারপোলের সাহায্য নেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, হালিম ও তার ভাগ্নে মামুন চক্রটি চলাতেন। রাজধানীতে হালিমের তিনটি বাড়ি রয়েছে। অবৈধ ব্যবসা করে সে কোটি টাকার মালিক হয়েছে। যারা কম খরচে বিদেশ যেতে চায়, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলের সেইসব মানষদের টার্গেট করতো চক্রটি। তাদের সদস্যরা সারা দেশে সক্রিয় রয়েছে।
কর্নেল তুহিন আরো বলেন, ‘এরা সাধারণত বাংলাদেশের নরসিংদী, নওগাঁ, ময়মনসিংহ, নারায়ণগঞ্জ, বগুড়া, যশোর এবং ঢাকার আশেপাশের লোকাল এজেন্টদের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। চক্রের সদস্য মতি, মিজান ও অন্যান্যরা লোকাল এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। তারা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষদের অল্প খরচে বিদেশে পাঠানোর লোভ দেখিয়ে আকৃষ্ট করে এবং পাসপোর্ট সংগ্রহ করে। পরবর্তী ধাপের জন্য তারা বাদশা, মামুন এবং রিপনকে পাসপোর্টগুলো সরবরাহ করে। বাদশা মালয়েশিয়া থেকে হালিমের নির্দেশনায় কয়েকটি ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে বৈধ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ব্যতীত বিমান টিকেট সংগ্রহ করে।’
এর আগে রাজধানীর গুলশান, পল্টন ও বাড্ডা থেকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়া এবং সাইপ্রাসে পাচারকালে নয় ভিকটিমকে উদ্ধার করে র্যাব। তখন নয় পাচারকারীকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- বাদশা শেখ, মো. মামুন, রিপন হোসেন, নাসির উদ্দিন, মনিরুজ্জামান, সজল কুমার, নাছির উদ্দিন, আহসানুজ্জামান ও মো. রাজিব। তাদের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণ পাসপোর্ট, জাল ভিসা, সিল ও জাল ভিসা তৈরির সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
অভিযানে উদ্ধার হওয়া ভিকটিমরা হলেন- মোঃ জজ মিয়া (২৩), মোঃ সুমন (২৪), মোঃ শফিকুল ইসলাম (২৬), মোঃ মাহাবুব মিয়া (২৩), মোঃ ফরহাদ মিয়া (২৬), মোঃ গোলাম রব্বানী (১৮), সুজন দাস (২৪), আলমগীর হোসেন (৩৫) ও মোঃ হাবিবুর (২৩)।
প্রতিবেদন: প্রীতম সাহা সুদীপ, সম্পাদনা: জাহিদ