
ঢাকা: আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের মানববন্ধন কর্মসূচির কারণে রোববার রাজধানীর সড়কগুলো যানজটে স্থবির হয়ে পড়েছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। যানজটে আটকে পড়া রোজাদারদের জন্য দিনটি হয়ে ওঠে একেবারেই অসহনীয়। যানবাহনের অত্যধিক চাপে রাস্তায় তিলধারণের জায়গাও ছিল না।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে বেশিরভাগ সময়ই স্থবির হয়েছিল যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দীর্ঘ অপেক্ষার পর যানবাহন কিছু দূর যায় তাও ধীরগতিতে। তিন মিনিটের পথ পেরোতে আধা ঘণ্টা, কোথাওবা ঘণ্টাখানেক সময়ও লেগে গেছে।
রোববার বিকালে গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জনমত গঠনের লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন করে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দল।
মানববন্ধন উপলক্ষে রাজধানীর গাবতলী, শ্যামলী, আসাদ গেট, ধানমন্ডি ২৭ নম্বর রোড, রাসেল স্কয়ার, গ্রীন রোড, বসুন্ধরা, সোনারগাঁও হোটেল, শাহবাগ, মত্স্য ভবন, প্রেসক্লাব, পল্টন মোড়, নূর হোসেন স্কয়ার, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, গুলিস্তান পার্ক, ইত্তেফাক মোড়, রাজধানী মার্কেট, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা মোড় পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পয়েন্টে অবস্থান নেন সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এদিকে রমজানে সরকারি-বেসরকারি অফিসের সময় সকাল নয়টা থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত। অফিস ফেরত মানুষের ঘরে ফেরার সময় এবং মানববন্ধন একই সময়ে হওয়ায় ঘরমুখো মানুষ বেশ সমস্যায় পড়েন।
যানজটের কারণে মতিঝিল ও সচিবালয় থেকে অফিস শেষে অনেকেই হেঁটে বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন। কেউ কেউ বাসে চাপলেও দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে থাকার পর গাড়ি থেকে নেমে হাঁটতে শুরু করেন।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা নিগার সুলতানা নিউজনেক্সটবিডি ডটকমকে বলেন, পল্টন থেকে মৎসভবনে আসতে সময় লেগেছে ১৫ মিনিট। অথচ মত্স্য ভবন থেকে শাহবাগ শিশু পার্ক পেরোতে আরও ৪০ মিনিট সময় লেগে গেছে। এইটুকু পথ হেটে গেলেও ১০ মিনিটের বেশি সময় লাগার কথা না। রোজা না রাখলে নেমে হেটেই চলে যেতাম।
ট্রাফিক উত্তরের সিনিয়র এসি আবু ইউসুফ বলেন, অন্যান্য সাধারণ দিনের তুলনায় রমজানে যানজট বৃদ্ধি পায়। আমরা সাধ্যমতো যানজট নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে যাচ্ছি। যানজট হবে বলে রাস্তায় কাউকে দাঁড়াতে দিচ্ছি না। গাড়ি চলা থেমে নেই।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/জাই