
মানিকগঞ্জ: জেলার হরিরামপুর উপজেলার ঝিটকা গাছী পাড়া এলাকার এক মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়ে সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।ধর্ষক কলেজ ছাত্র মিলটন হাজারী (২২)। সে একই এলাকার হারুন হাজারীর পুত্র।
বৃহস্পতিবার বিকালে ধর্ষণের এই ঘটনাটি ঘটলেও ধর্ষক স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার আত্বীয় হওয়ার সুবাদে থানায় মামলা করতে সাহস পাচ্ছে না ধর্ষিতার দিনমজুর পিতা।
মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার মো.লুৎফর রহমান জানান, ধর্ষিতা ভর্তি রয়েছে আর ধর্ষণের আলামতও পাওয়া গেছে । যেহেতু এটা পুলিশ কেস তাই আইনগত প্রক্রিয়ার পর ধর্ষিতার মেডিক্যাল পরীক্ষা নিরীক্ষা করা হবে বলে তিনি জানান।
হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের ঘটনা তার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা জানান, ঘটনার দিন বিকালে ধর্ষক তাদের ঘরে ঢুকে হাত, পা ও মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। এসময় ধর্ষিতা আর্তচিৎকারের চেষ্টা করলে ধারালো ব্লেড দিয়ে কেটে লবন দেয়ার হুমকি দেয়।
ধর্ষিতার বাবা জানান, ঘটনার সময় বাড়ির লোকজন পাশের জমিতে মরিচ তুলতে যায়। বাড়িতে একা পেয়ে তার মেয়েকে প্রতিবেশী মিলটন হাজারী জোড়পূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। তার স্ত্রী মরিচ তুলে বাড়ি ফিরে এসে দেখে মেয়ের হাত,পা ও মুখ বাঁধা।
ধর্ষণের বিষয়টি ধর্ষকের বাবা হারুন হাজারীকে জানানো হলেও তারা তার মেয়েকে হাসপাতালে নিতে বাঁধা দেয়। পরে তারা ধর্ষিতাকে রাত বারোটার দিকে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তবে এখনো তারা মামলা করেনি। রোববার মানিকগঞ্জ আদালতে মামলা করবেন বলে জানান ধর্ষিতার বাবা।
এদিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান শামীম হাজারী সাথে কথা হলে ঘটনার সত্যতা স্বিকার করে তিনি জানান, বিষয়টি আপোষ মিমাংসার চেষ্টা চলছে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/প্রতিনিধি/জাই