
ঢাকা: নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে মিরপুর সিদ্ধান্ত হাইস্কুল থেকে এক কর্মসূচি শেষ করে তিনি সরাসরি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের ৩০২ নম্বর কেবিনে ফুল নিয়ে যান। প্রায় আধঘণ্টা কেবিনে থেকে মান্নার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। এসময় তিনি পুরনো দিনের স্মৃতিচারণ করেন।
এক পর্যায়ে বিএসএমএমইউওয়ের উপাচার্য কামরুল হাসানকে ফোন করে মান্নার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা নিতেও অনুরোধ জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এসময় উপস্থিত সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দীর্ঘদিন আমরা একসঙ্গে রাজনীতি করেছি। রাজনীতির বাইরেও একটা সম্পর্ক থাকে। গতকালই আসতে চেয়েছি, নির্বাচনের কারনে পারিনি। আজকে প্রোগ্রাম ছিল, শেষ করে চলে এসেছি।’
গত ১৮ ডিসেম্বর নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জামিনে মুক্তি পান। সেদিন থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
এক সময়কার জাসদ ছাত্রলীগের তুখোর নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে পর পর দুবার মুজিববাদী ছাত্রলীগের নেতা ওবায়দুল কাদেরকে পরাজিত করে ভিপি হয়েছিলেন। বামধারার এই ছাত্রনেতা নব্বইয়ের দশকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ওইসময় ওবায়দুল কাদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
ওয়ান-ইলেভেন নামে পরিচিত ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি সেনানিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা নেওয়ার পর আওয়ামী লীগে সংস্কারপন্থী হিসেবে পরিচিতি পান মান্না। ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের পদ হারালে তিনি নাগরিক ঐক্য নামে নতুন দল গঠন করেন। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি মান্নাকে সেনা উসকানির অভিযোগে আটক করে পুলিশ। সেনা বিদ্রোহে উসকানি এবং রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয় তার বিরুদ্ধে। গ্রেফতারের ২১ মাস পর গত ১৮ ডিসেম্বর জামিনে মুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি হন মান্না। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: ইয়াসিন