
মিউনিখ: জার্মানির অলিম্পিয়া শপিং সেন্টারে হামলা করা কিশোর বন্দুকধারী গত এক বছর ধরে এধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল। তবে সুনির্দিষ্ট কোন গোষ্ঠী তার হামলার লক্ষ্য ছিল না বলে জানিয়েছে জার্মান কর্তৃপক্ষ। ১৮ বছর বয়সি ইরানি বংশোদ্ভূত জার্মান নাগরিক ডেভিড আলি সনবোলির কাছে একটি পিস্তল এবং ৩০০ গুলি পাওয়া গেছে। শপিং সেন্টারে হামলার পর বন্দুকধারী আত্মঘাতী হয়।
ব্যাভারিয়া রাজ্যের সরকারি কর্মকর্তা জানান, ইন্টারনেটের মাধ্যমে অবৈধভাবে অস্ত্রটি সংগ্রহ করেছে হামলাকারী কিশোর। শুক্রবারের হামলায় ৯ জন নিহত হন। এদের মধ্যে ৭ জন কিশোর বয়সি। নিহতদের দুজন তুরস্কের, দুজন জার্মানির, এক জন হাঙ্গেরি, এ্ক জন গ্রিক এবং এক জন কসোভোর। এই হামলায় ৩৫ জন আহত হন। ব্যাভারিয়ার ফৌজদারি পুলিশ প্রধান রবার্ট হেইমবার্গার জানান, হামলাকারীর কোন সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য ছিল না এবং নিহতরা তার সহপাঠীও ছিল না।
তিনি বলেন, সনবোলি গত বছর দক্ষিণ-পশ্চিম জার্মানির ইউননেন্ডেন শহরে গিয়েছিল। ২০০৯ সালে এই শহরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। সে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানটির ছবিও তোলে। এছাড়া ‘ফার্স্ট পারসন শুটার’ নামক ভিডিও গেমের প্রতি তার আসক্তি রয়েছে।
এদিকে সনবোলির বাসস্থানে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ নরওয়ের গণহত্যাকারী অ্যান্ডার্স বেহরিং ব্রেইভিকের কোন ম্যানিফেস্টো পায়নি। প্রাথমিকভাবে পুলিশ ধারণা করেছিল, এই হামলার সঙ্গে হয়তো ব্রেইভিকের কোন লিংকের সম্ভাবনা রয়েছে। ৫ বছর আগে একইদিনে নরওয়েতে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ব্রেইভিক।
মিউনিখ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের মুখপাত্র জানান, ২০১৫ সালে সনবোলি মানসিক চিকিৎসা কেন্দ্রে দুই মাসের মত ছিল। ছাড়া পাওয়ার পরেও তার চিকিৎসা অব্যাহত ছিল।
তবে শুক্রবারের হামলার সঙ্গে কোন রাজনৈতিক প্রণোদনা খুঁজে পায়নি পুলিশ। এই ঘটনার পর জার্মানির রাজনীতিবিদরা আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়েছেন।
সূত্র: বিবিসি
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এফকে/টিএস