
চট্টগ্রাম: ক্লোজসার্কিট ক্যামেরার ভিডিওচিত্রে দেখা গেছে সন্দেহে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পরই মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নতুন মোড় নিয়েছে। আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতুকে জঙ্গিরা খুন করতে পারে -এমন ধারণার ভিত্তিতে এতদিন তদন্ত চললেও এখন পুলিশ ভাবছে, ‘মিতুর খুনিরা ভাড়াটেও হতে পারে’।
ভিডিওচিত্রে দেখা খুনিদের মধ্যে ‘একজন’ সন্দেহে আটক শাহজামান রবিন সম্পর্কে বলতে গিয়ে এমনটাই জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার। তিনি বলেন, ‘আটক রবিন যে কোনো জঙ্গি মতাদর্শে বিশ্বাসী হতে পারে, অথবা ভাড়াটেও হতে পারে। তবে আমরা এই হত্যার সাথে জঙ্গি সম্পৃক্ততাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। পাশাপাশি অন্যান্য ফ্যাক্টরগুলোও বিবেচনায় রাখছি। সে যদি কারো পক্ষে এই হত্যাকাণ্ড ঘটায় তবে এর পেছনে কারা আছে তাদেরকেও খুঁজে বের করতে হবে।’
মিতু হত্যার তদন্ত প্রসঙ্গে শনিবার দুপুরে ইকবাল বাহার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গেছে মোবাইল ফোনে কথা বলতে বলতে এক যুবক মিতুর দিকে হেটে যাচ্ছে। সেই যুবক সন্দেহেই শাহজামানকে আটক করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে শাহজামান মোটরসাইকেল আরোহী অপর দুইজনের সাথে মিলে মিতুকে ছুরিকাঘাত ও গুলি করেছে।’
ইকবাল বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাওয়া যুবকের সাথে রবিনের অনেক মিল আছে, ফুটেজ একেবারে স্পষ্ট না হলেও অন্যান্য তথ্যেও এই যুবকই ফুটেজে দেখা যাওয়া যুবক বলে মনে হচ্ছে। তবে তার সম্পর্কে আরো খোঁজ খবর নেয়া হচ্ছে। তাকে রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
মিতু হত্যায় আল কায়েদার নিন্দা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সিএমপি কমিশনার বলেন, ‘হয়তো তারা( আল কায়েদা) একজন ধার্মিক মহিলার মৃত্যুর দায়ভার নিতে চাচ্ছে না। তাই নিন্দা করছে। আবার মূল ঘটনা আড়াল করার জন্যও তারা এমনটি করতে পারে।’
গত ৫ জুন চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে বাসার কাছে খুন হন বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এরপরই পুলিশ বলেছিলো, জঙ্গিরাই এই হত্যাকাণ্ড ঘটাতে পারে। কারণ নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার সম্প্রতি চট্টগ্রামে জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি সফল অভিযান পরিচালনা করেন।
নিহতের স্বামী বাবুল আক্তার সিএমপি, চট্টগ্রাম জেলা ও কক্সবাজার জেলায় পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। ওই সময় তিনি জঙ্গি দমন ছাড়াও ইয়াবা এবং সোনা চোরাচালনীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসএন/পিএসএস/এসকে/জাই