
ঢাকা: পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যা দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ বলে মন্তব্য করেছেন কাউন্টার টেরোরিজম (সিটি) ইউনিটের প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘বাবুল আক্তারের স্ত্রী মিতু দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিদেশি মদদপুষ্ট হয়েই তাকে খুন করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যেই মিতু হত্যা তদন্তে যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। এ ঘটনায় যারাই জড়িত থাকুক না কেন, তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।’
৬ জুন রোববার সকালে চট্টগ্রামের জিইসি সংলগ্ন এলাকায় ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দেওয়ার সময় দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাত ও গুলিতে নিহত হন আলোচিত পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু।
ইতোমধ্যেই হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ইসলামি ছাত্র শিবিরের সাবেক কর্মী আবু নছর ওরফে গুন্নুকে (৪৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনার দিন তিন ঘাতকের মোটরসাইকেলের পেছনে থাকার সন্দেহে চালকসহ একটি মাইক্রোবাসও আটক করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ।
তদন্তে অগ্রগতি প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার বলেন, ‘তদন্তে তথ্যগত উন্নতি আছে, বস্তুগত উন্নতি এখনো হয়নি, মূল জায়গায় এখনো পৌঁছাতে পারিনি, সেখানে হাত দিতে একটু সময় নিচ্ছি।’
ইকবাল বাহার বলেন, ‘খুনিদের মটরসাইকেল উদ্ধার করা হলেও তারা এটি রেখে কোথায় গেছে তা বিশ্লেষণ করে দেখা হচ্ছে। ফুটেজে দেখা কালো মাইক্রোবাসটির সাথে হত্যাকাণ্ডের সম্পৃক্ততা থাকতে পারে। কারণ জঙ্গিরা খুন করার সময় পিছনে ভারী যন্ত্রপাতিসহ মাইক্রোবাস নিয়ে ব্যাকআপ দিয়ে থাকে।’
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/আইকে/ওয়াইএ