
লন্ডন: মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড অবিলম্বে স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছে লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি বলেছে, বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষকে অবশ্যই ‘গভীর ত্রুটিযুক্ত’ বিচারের মাধ্যমে ‘জ্যেষ্ঠ রাজনীতিক’ মীর কাসেম আলীকে দেয়া মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করতে হবে।
এতে অ্যামনেস্টির দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক চম্পা প্যাটেল বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় সংঘটিত অপরাধের জন্য ন্যায়বিচার চায়। তবে সেটা টানা মৃত্যুদণ্ডের মধ্য দিয়ে অর্জিত হবে না। এটা কেবল সহিংসতায় বিভক্ত একটি সমাজের অভ্যন্তরীণ উত্তেজনা আরো বাড়াবে।’
বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক মীর কাসেম আলীকে মৃত্যুদণ্ড, তার আপিল, রিভিউ ও তা খারিজ হয়ে মৃত্যুদণ্ড বহালের বিষয়টি তুলে ধরে বলা হয়, গত সপ্তাহে জাতিসংঘের একদল বিশেষজ্ঞ অনিয়ম ও অস্বচ্ছ্ব প্রক্রিয়ার কারণে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড বাতিল করতে বাংলাদেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আগেও প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি। চম্পা প্যাটেল বলেন, শুরু থেকেই আইসিটি ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে অস্বচ্ছ্ব প্রক্রিয়া অনুসরণ করেছে। তিনি বলেন, একাত্তর সালের লোমহর্ষক ভোগান্তির শিকাররা ত্রুটিযুক্ত প্রক্রিয়ায় নয়, স্বচ্ছ্ব প্রক্রিয়ায় ন্যায়বিচার প্রাপ্তির দাবি রাখেন।
বিবৃতিটিতে মীর কাসেম আলীর ছেলের ভাগ্যে কী ঘটেছে তা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। ৯ আগস্ট আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পরিচয়ে মীর আহমেদ বিন কাসমেকে তুলে নেয়া হয়। তারপর থেকে তার কোন খবর নেই।
মঙ্গলবার প্রকাশ করা বিবৃতিটিতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক গুম দিবসের প্রাক্বালে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত মীর কাসেমের ছেলের সন্ধান জানানো।
এছাড়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আহ্বান জানায় অ্যামনেস্টি। এর আগে অন্যান্য যুদ্ধাপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দেয়া ও তা কার্যকরের সময়ও একই ধরনের আহ্বান জানিয়েছিল লন্ডনভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: সাইফুল ইসলাম