
মিশুক মনির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: শোষণমুক্ত রাষ্ট্র গড়ার চেতনা নিয়ে মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিল। সেই মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দল ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ নিয়ে তারা গর্ব করে। আওয়ামী লীগ বলে তাদের সরকার মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র কায়েম করতে চায়। আজকে আমরা লক্ষ্য করলে দেখতে পাই, মুক্তিযুদ্ধকে আওয়ামী লীগ ব্যবসায় পক্ষ বানিয়ে ফেলেছে।
বৃহস্পিতবার বিকাল পাঁচটায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সামনে বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ) কর্তৃক আয়োজিত ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, গোপালগঞ্জ- হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়ি-ঘর হামলা-লুটপাট ও মন্দির ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচার কর’ শীর্ষক মানববন্ধনে বক্তারা এসব কথা বলেন।
তারা জানান, সংখ্যালঘুদের জমি-জমা বর্তমানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দখলে। আওয়ামী লীগ অসাম্প্রদায়িকতার কথা বলে ক্ষমতায় আছেন। সেটা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে বাম-প্রগ্রতিশীল নেতৃত্বের মাধ্যমে রাষ্ট্রের ক্ষমতা দখল করতে পারলেই অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গড়া সম্ভব।
বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলে বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর হামলা ও মন্দিরগুলোতে একের পর ভাঙচুরের যে ঘটনা ঘটেছে সেগুলোর বিচার না হওয়ায় নাসিরনগরে এমন হামলার ঘটনা ঘটছে বলে তারা অভিযোগ করেন।
এ ঘটনায় পুলিশ ও প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ভূমিকা নিয়েও তীব্র সমালোচনা করেন বক্তারা।
তারা জানান, নাসিরনগরে রোববারের হামলা ঠেকাতেও আওয়ামী লীগ নেতাদের আগ্রহ দেখা যায়নি।
সমাজতান্ত্রিক শ্রমিকফন্টের সদস্য আহসান হাবিব বুলবুল বলেন, ‘নাসিরনগরে হিন্দুধর্মাবলম্বী মা-বোনকে যারা লাঞ্ছিত করেছেন ও মন্দিরে হামলা চালিয়েছেন জড়িত সেসব গডফাদারদের ও প্রশাসনে থেকে দায়িত্বে অবহেলাকারী কর্মকর্তাদের উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।’
বাসদের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলূর রশিদ ফিরোজ ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন প্রিন্স বক্তব্য রাখেন।
সম্পাদনা: জাহিদ