
ঢাকা: ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।
তিনি বলেন, আগামী বছরে আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানি তেলসহ পণ্যমূল্য কমার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতোমধ্যে অভ্যন্তরীণ বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমানো হয়েছে, যা খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হ্রাসে ভূমিকা রাখবে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের মূল্যে নিন্মমুখী সমন্বয়ের কাজটি অব্যাহত রয়েছে। অন্যদিকে কৃষিতে ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা ও অভ্যন্তরীণ সরবরাহ পরিস্থিতির ধারাবাহিক উন্নয়ন, খাদ্য মূল্যস্ফীতি সহনীয় পর্যায়ে রাখবে বলে ধারণা করছি। পাশাপাশি সামষ্টিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রাজস্ব ও মুদ্রানীতির সমন্বয় সাধন আমরা অব্যাহত রাখবো। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ৫.৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতির লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছি।’
সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরের এপ্রিল শেষে গড়ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬.০ শতাংশে, গত অর্থবছরের একই সময়ে যা ছিল ৬.৬ শতাংশ। একই সময়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে মূল্যস্ফীতির হারও ৬.৩ শতাংশ থেকে ৫.৬ শতাংশে নেমে এসেছে।’
তিনি বলেন, ‘মূলত সন্তোষজনক কৃষি উৎপাদন, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলসহ পণ্যমূল্য হ্রাস, সামষ্টিক অর্থনীতির দক্ষ ব্যবস্থাপনা ও স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশে পণ্য সরবরাহ স্বাভাবিক থাকায় মূল্যস্ফীতি হ্রাস পেয়েছে।’
বিগত অর্থবছরগুলোর পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০০৬-০৭ সালে বার্ষিক গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ৯.৪ শতাংশ। ০৭-০৮ অর্থবছরে তা বেড়ে দাড়ায় ১২.৩ শতাংশে। ২০০৮-০৯ অর্থবছরে মূদ্রাস্ফীতি ছিল ৭.৬ শতাংশ।
আর ২০০৯-১০ সালে মূদ্রাস্ফীতি ছিল ৬.৮ শতাংশ। যা ১০-১১ সালে বেড়ে দাড়ায় ১০.৯ এ। ১১-১২ অর্থ বছরে মূদ্রাস্ফীতি ৮.৭ এ নেমে আসে। এরপর ১২-১৩ সালে ৬.৮, ১৩-১৪ সালে ৭.৪, ১৪-১৫ সালে ৬.৪ এবং ১৫-১৬ সালের এপ্রিল শেষে গড়ভিত্তিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে ৬.০ শতাংশে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/পিএসএস/জাই