
ইস্তাম্বুল: ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর তুরস্কে আবারও মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনা হতে পারে এমন ইঙ্গিত একাধিকবার দিয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এবার বিশাল সমাবেশে সেটি ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানালেন তিনি। তবে পার্লামেন্ট ও জনগণ সমর্থন করলেই মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান এরদোয়ান।
ইস্তাম্বুলে বিশাল এক সমাবেশে মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনা সংক্রান্ত এসব কথা বলেছেন তিনি। ওই সমাবেশে অন্তত ১০ লাখ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গত মাসে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পর সমাবেশটি আয়োজন করা হয়। এতে এরদোয়ান ঘোষণা দেন যে, দেশকে যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাসিত নেতা ফেতুল্লাহ গুলেনের অনুসারীমুক্ত করা হবে।
তুরস্ক সরকার বলছে, ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টার পেছনে গুলেনের হাত রয়েছে। তবে তিনি এমন অভিযোগ শক্ত ভাষায় প্রত্যাখ্যান করে আসছেন। ইস্তাম্বুলের বিশাল সমাবেশটিতে ধর্মীয় নেতাদের পাশাপাশি তুরস্কের তিনটি বিরোধী দলের মধ্যে দুটির উপস্থিতি ছিল। কুর্দিশ পার্টিকে এতে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি।
১৫ জুলাই তুরস্কে ব্যর্থ অভ্যুত্থানচেষ্টায় অন্তত ২৭০ জন মারা যান। ওই ঘটনার পর সরকার ব্যাপক দমন-পীড়ন শুরু করে। ফেতুল্লাহ গুলেনের হাজার হাজার সমর্থককে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। প্রায় ৫০ হাজার বেসামরিক চাকরিজীবীকে বরখাস্ত করেন এরদোয়ান।
পশ্চিমা দেশগুলো তুরস্কের এমন আচরণের তীব্র সমালোচনা করেছে। ওই ঘটনার পর মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনতে চায় তুরস্ক। দেশটি আবার ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদস্যও হতে আবেদন করেছে। তবে ইইউ মৃত্যুদণ্ড আছে এমন দেশকে সদস্য করে না।
এরদোয়ান সমাবেশে বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ড ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে তুরস্কের পার্লামেন্ট। আমি আগাম ঘোষণা দিয়ে রাখছি পার্লামেন্টের নেয়া সিদ্ধান্ত আমি অনুমোদন করবো।’
তিনি বলেন, ‘তারা বলে ইইউতে মৃত্যুদণ্ড নেই। হ্যাঁ, তবে এটি যুক্তরাষ্ট্রে আছে, চীনে, আছে, জাপানে আছে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশেই এটি আছে। এর অর্থ হচ্ছে তারা একে অনুমোদন দেয়। আমাদের দেশে এটা (মৃত্যুদণ্ড) ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত ছিল। সার্বভৌমত্ব মানুষের হাতে। যদি তারা এটা অনুমোদন করে তবে আমি নিশ্চিত রাজনৈতিক দলগুলো সেটা মেনে নেবে’। সূত্র: বিবিসি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই