
ঢাকা: বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা কামণায় নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামণার কথা অস্বীকার করলেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্যপরিষদের সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশগুপ্ত। নিউজনেক্সট ডটকম’র প্রশ্নের জবাবে সোমবার বিকেলে তিনি দাবি করেছেন, এমন কোনো কথা তিনি বলেননি।
নিউজনেক্সট ডটকমকে রানা বলেন, ‘কয়েকদিন আগে একজন আমার মোবাইল ফোনে কল করে পিটিআই (প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়া)’র সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। আমি তাকে পুরো পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করি। তবে বাস্তবতা তুলে ধরার সময়ে আমি কোনোভাবে নরেন্দ্র মোদির হস্তক্ষেপ কামণা করিনি। এমন কোনো কথাই বলিনি।’
এর আগে রোববার ভারতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা পিটিআইসহ একাধিক গণমাধ্যমের সংবাদে বলা হয়, বাংলাদেশের হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টানঐক্য পরিষদ দেশটির সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সহায়তা কামনা করেছে। রানা দাশগুপ্তের বক্তব্যের বরাত দিয়েই ওই খবরগুলো প্রকাশ করা হয়।
রানা দাশগুপ্ত পিটিআইকে বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশে সবচেয়ে বড় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় হলো হিন্দুরা। এ সম্প্রদায়টি বাংলাদেশে ঝুঁকিরমুখে। মৌলবাদী ও জামায়াতিরা বাংলাদেশ থেকে হিন্দুদের মূলোৎপাটনের চেষ্টা করছে। আমরা মনে করি হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হিসেবেভারত এক্ষেত্রে কিছু করতে পারে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আমাদের বড় আশা রয়েছে। তার উচিত এ বিষয়টি বাংলাদেশসরকারের কাছে তুলে ধরে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। ভারত যদি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা চায় তাহলে আমাদের দেশে (বাংলাদেশে)সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে বিনাশ করা বন্ধ করতে তাদেরকে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
এদিকে নিউজনেক্সটবিডি ডটকম’কে রানা বলেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের রক্ষার জন্য এই রাষ্ট্র ও সরকার যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে। আশাকরি, আমার এই বক্তব্যের মাধ্যমে জনমনে যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে তা দূর হবে।’ এ নিয়ে সংবাদ প্রকাশকারি ণমাধ্যমগুলোয়
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদলিপি পাঠানো শুরু হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ের মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতেরও একজন প্রসিকিউটর রানা দাশগুপ্ত।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসকে