
ঢাকা: ঢাকার বনানীতে স্বাধীনতা বিরোধী মোনায়েম খানের যে বাড়িটির বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত হয়েছে, সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য বিশেষায়িত একটি হাসপাতাল তৈরির ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আনিসুল হক।
সব যুদ্ধাপরাধীর সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার দাবিতে শনিবার বনানীতে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে অংশ নিয়ে আনিসুল হক বলেন, “মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্মের দাবির প্রতি আমি একমত। আমরা এ দাবির প্রতি সম্পূর্ণভাবে সমর্থন জানাচ্ছি। এখানে মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের জন্য একটি হাসপাতাল করা হবে।”
তিনি আরো বলেন, “আমি দেখছি হাজার হাজার বিঘা জমি একটি স্থিতাবস্থার সুযোগ নিয়ে দখল করে আছে। প্রধান বিচারপতির কাছে দাবি, আলাদা একটি কমিশন গঠন করুন। যেসব জমি প্রভাবশালীরা আটকে রেখেছে, সেগুলো মুক্ত করে দিন। আমি মেয়র হয়ে দেখছি, ঢাকা শহরের হাজার হাজর বিঘা জমি প্রতাপশালী-প্রভাবশালী লোকেরা দখল করে রেখেছে। গরিব হকাররা রাস্তা দখল করলে তাদের তাড়ানো যায়। কিন্তু বড়লোকরা পুলিশকে তাড়ানোর ক্ষমতা রাখে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন সেই যুদ্ধে নেমেছে।”
উল্লেখ্য, একাত্তরে মুক্তিবাহিনীর হামলায় নিহত মোনায়েম খানের উত্তরাধিকাররা বানানীর এ বাড়ি সংলগ্ন সরকারি দশ কাঠা জমি দখল করে রাখে। যা ৩ নভেম্বর উচ্ছেদ করে উত্তর সিটি করপোরেশন। এ বাড়ির বরাদ্দ বাতিল চেয়ে সেসময় মেয়র সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, “বাড়িটির বরাদ্দ বাতিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ওটা ক্যানসেল হয়ে গেছে। আমি বলে দিয়েছি, যে স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, তার প্লট বাতিল হবে। সেটা গণপূর্তের প্লটই হোক, রাজউকেরই হোক। সেটা বাতিল। আপনারা সেইটা ক্যানসেল করে দেন, আমরা মন্ত্রণালয় থেকে ক্যানসেল করে দেব।”
এ মানববন্ধনের আয়োজন করে, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি সংরক্ষণ কেন্দ্র, সেক্টর কমান্ডার্স ফোরাম, বাংলাদেশ খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সমিতি, প্রজন্ম ৭১, জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা প্রতিরোধ মোর্চা, যুদ্ধাপরাধ গণবিচার মঞ্চ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন এবং আমরা মু্ক্তিযোদ্ধার সন্তান।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: আবু তাহের