
সাইফুল ইসলাম, ঢাকা: সর্বাধিক আলোচিত ক্রিড়াবিদ মোহাম্মদ আলী আর নেই। ক্যারিয়ারজুড়ে মোট ৬১টি বক্সিং লড়াইয়ে ৫৬টিতেই জিতেছেন তিনি। এর মধ্যে ৩৭টিতে একেবারে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হন কিংবদন্তি ক্রিড়াবিদ আলী।
দেখে নেয়া যাক আলী সম্পর্কে কে কি বলেছেন-
অডেসা গ্র্যাডি ক্লে: আলীর মা অডেসা বলেন, ‘আমি সব সময় অনুভব করেছি যে স্রষ্টা মোহাম্মদকে বিশেষ একজন হিসেবে তৈরি করেছেন। তবে আমি জানিনা কেন স্রষ্টা এই শিশুকে আমার গর্ভে দান করেছেন।’
‘শিশুকাল থেকেই সে কখনো বসে থাকত না। হাঁটত, কথা বলত এবং সবকিছু করতে থাকত। সময়ের আগেই সবকিছু করত সে। তার মন ছিল সবপথে চলা বাতাসের মতো।’
সে আমাকে বলত তার দিকে পাথর মারার জন্য। আমি মনে করতাম ও পাগল নাকি। কিন্তু না। সে পেছনে সরে যেত। এভাবে সবাইকে ডজ দিত সে। আমি কখনো তার গায়ে পাথর ফেলতে পারমাত না।’
রাহমান আলী: মোহাম্মদ আলীর ভাই রাহমান আলী বলেন, ও আমাকে ওর দিকে পাথর ছুড়ে মারতে বলতো। আমি কখনো তার গায়ে পাথর লাগাতে পারতাম না।
ডিক স্কাপ: কিংবদন্তি মার্কিন ক্রিড়া লেখক স্কাপ বলেন, ‘এমনকি মাত্র ১৮ বছর বয়সেই আলী ছিলেন উজ্জল নক্ষত্র। আমার দেখা সবচেয়ে জীবন্ত ফিগার।’
আর্কি মোরে: কিংবদন্তি বক্সার ও এক সময়ের আলীর বক্সিং পার্টনার এবং পরবর্তীতে প্রতিপক্ষ আর্কি মোরে বলেন, ‘আমার স্ত্রী-সন্তানরা আলীর অন্ধভক্ত। আমিও তার একনিষ্ঠ সমর্থক। কিন্তু আমি যা বলেছি তা সে কখনো করেনি।’
অ্যাঞ্জেলো ডানডি: আলীর প্রশিক্ষক অ্যাঞ্জেলো ডানডি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে বেশিরভাগ সময়েই আলী ছিলেন চিন্তক ও চুপচাপ। তবে সে জানত কিভাবে নিজেকে উন্নত করতে হয়। সে সেটা করতে পেরেছে। ধন্যবাদ স্রষ্টা কেসিয়াস ক্লে (মোহাম্মদ আলী) একজনই।
হেনরি কুপার: ব্রিটেনের সবাই আলীর রক্তাক্ত সাহসকে ঘৃণা করে। ১৯৬৩ সালে লড়াইয়ের আগে আলী সম্পর্কে বলেছেন ব্রিটিশ প্রতিপক্ষ হেনরি। ওই লড়াইয়ে কুপার হেরে যান।
ম্যালকম এক্স: আফ্রিকা, এশিয়া ও আরবের কোটি কোটি মানুষ তোমাকে অন্ধভাবে ভালোবাসে। তোমাকে সব সময় তাদের প্রতি তোমার দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
মার্টিন লুথার কিং জুনিয়র: নাগরিক অধিকার নেতা মার্টিন লুথার কিং আলী সম্পর্কে বলেন, ‘তার বিবেক যেটা তাকে সত্য বলে মনে করায় তার জন্য লাখ লাখ ডলার ব্যয় করতে আলীর দ্বিধা নেই।’
মৌমাছি নাও, আলীকে না: মোহাম্মদ আলী যখন মার্কিন সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে অস্বীকার করেন এবং তাকে চাপাচাপি করা হয় তখন ‘মৌমাছি ভর্তি কর, আলীকে না’ ব্যানার লিখে প্রতিবাদ জানায় ছাত্ররা। আলী বোমেই (আলী, তাকে হত্যা কর) আলী ও জর্জ ফোরম্যোনের মধ্যকার ১৯৭৪ সালের ‘রামবল ইন দ্যা জাঙ্গল’র একটি স্লোগান ছিল এটি।
বিল ক্লিনটন: আলীর সাহসকে সব সময় প্রশংসা করেছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন। এছাড়া নিজের প্রতিপক্ষ সব সময় সমীহ করে আলীর প্রশংসা করেছেন। সমালোচনাও করেছেন অনেকে। প্রায় সব দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা আলীর প্রশংসা করেছেন বিভিন্ন সময়। সূত্র: বিবিসি।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই