
ঢাকা: পরিকল্পিত হত্যাকান্ডের রিপোর্টের পরিবর্তে ময়নাতদন্তে আত্মহত্যা লিখে দেয়ার অভিযোগে শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে নিহতের পরিবার।
মানববন্ধনে হত্যাকান্ডটিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা উল্লেখ করে হত্যাকারীদের রক্ষা করার জন্য কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তার প্রদীপ কুমার চৌধুরীর বিচার দাবি করেছেন তারা।
নিহতের বড় বোন লিপি আক্তার বলেন, “আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল আহাদ ভূঁইয়া। চলতি বছর জুন মাসের আট তারিখ আমার ভাই মো. ফারুক ভূঁইয়াকে রাজনৈতিক কারণে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে কিছু সন্ত্রাসী নির্মম ভাবে হত্যা করে।”
“অথচ আমার ভাইয়ের হত্যাকান্ডের ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আত্মহত্যা হিসেবে উল্লেখ করে কিশোরগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালের ডাক্তার প্রদীপ কুমার চৌধুরী। আমরা সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের বিচার দাবি করছি।”
এ বিষয়ে নিহতের ছোট ভাই ফরহাদ ভূঁইয়া বাদী হয়ে ইটনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। লাশের সুরৎহালের রিপোর্টে মাথার চুলের সামনের অংশের চুল কামনো, বাম চোয়ালে আঘাতের চিহ্ন, বাম চোখের উপরে থেতলানোসহ লাশ পানিতে থাকায় ফুলে যাওয়ার উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে চিকিৎসক মৃতের শরীরে আঘাতের কোনো অস্তিত্ব নেই উল্লেখ করার অভিযোগ করেন মৃতের পরিবার।
প্রতিবেদক: শেয় রিয়েল