
ফিচার ডেস্ক: চলতি বছরের ৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে ঘিরে দেশ-বিদেশে সাধারণ মানুষের মাঝে যেমন আগ্রহ ও কৌতূহলের শেষ নেই, তেমনি বিষয়টি জটিল ও দুর্বোধ্য। কৌতূহলের কারণ একাধিক। প্রথমত, ১৯৯০-এর পর থেকে আমেরিকা এখন পৃথিবীর একমাত্র পরাশক্তি, যদিও ইদানীং চীন ও রাশিয়া নতুন করে তাদের শক্তিমত্তার জানান দিচ্ছে। দ্বিতীয়ত, সে দেশের অর্থনীতি মানে কল্পনাতীত এক বিশাল কর্মযজ্ঞ! প্রতি বছর সেখানে সৃষ্টি হয় প্রায় ১৭ লাখ কোটি ডলারের সম্পদ, যা কিনা সারা দুনিয়ার প্রায় চার ভাগের এক ভাগ। তৃতীয়ত, দেশ ও সভ্যতা হিসেবে খুব প্রাচীন না হলেও আমেরিকার সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্রচর্চার ইতিহাস প্রায় আড়াই শ’ বছরের। অষ্টাদশ শতাব্দীর মাঝামাঝি ভারতবাসীরা যখন পরাধীন হয়, তার কাছাকাছি সময়ে আমেরিকা স্বাধীন হয়। এরপর থেকে মার্কিন জনগণ নিরবচ্ছিন্নভাবে তাদের সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র চর্চা করে আসছে। তবে তাদের জাতীয় জীবনের এর চেয়েও শক্তিশালী দিক হলো ১৮৬০ সালের গৃহযুদ্ধের পর সে দেশে তেমন বড় ধরনের কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট দেখা দেয়নি। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিক থেকে আমেরিকা পৃথিবীর বুকে একটা আদর্শ উদাহরণ বটে।
নির্বাচনের নানা কথা:
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন চার বছর পরপর অনুষ্ঠিত হয়। সাধারণত চার দিয়ে বিভাজ্য বছরগুলোর নভেম্বর মাসের প্রথম মঙ্গলবার নির্দিষ্ট এ নির্বাচনের জন্য। যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচনে অংশ নিতে প্রার্থীকে তিনটি শর্ত পূরণ করতে হয়। এক, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হতে হবে। দুই. ৩৫ বছর বয়স হতে হবে। তিন. অন্তত ১৪ বছর যুক্তরাষ্ট্রে বাস করতে হবে।
যুক্তরাষ্ট্রে ৫০টি অঙ্গরাজ্যে এক মাস ধরে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন প্রার্থী নির্ধারণ করা হয়। এজন্য আইওয়া রাজ্যে রাজনৈতিক নেতাদের সমিতিতে নির্বাচন সম্পর্কিত আলোচনা করা হয়। সর্বোচ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দলের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন। প্রাথমিক পদক্ষেপ সম্পন্ন হওয়ার পর ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থীরা প্রার্থী মনোনয়নে সম্মেলনের আয়োজন করে। ১৮ জুলাই ওহিওতে রিপাবলিকান ও তার এক সপ্তাহ পর ফিলাডেলফিয়ায় ডেমোক্রেট সমর্থকদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সম্মেলনে অংশ নেয়া প্রতিনিধিদের প্রশংসাসূচক বাক্যালাপে প্রার্থীকে বরণ করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে তিন পর্বের প্রেসিডেন্ট বির্তক বেশ গুরুত্বপূর্ণ। এ বিতর্ক স্বাধীন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত। ১৯৭৬ সাল থেকে ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে এ বিতর্কে অংশ নেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইলেকটোরাল কলেজ নামের একটি নির্বাচনী পদ্ধতি। এর কোনো প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো নেই। এ কলেজ পদ্ধতি আসলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হিসেবে একজনকে বেছে নেয়ার জন্য ইলেকটর বা নির্বাচক মনোনয়ন প্রক্রিয়া। ইলেকটোরাল কলেজ পদ্ধতিতে যুক্তরাষ্ট্রে মোট নির্বাচক বা ইলেকটরের সংখ্যা পাঁচশো ৩৮ জন। প্রেসিডেন্ট হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে একজন প্রার্থীকে কমপক্ষে দুশো ৭০টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত করতে হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রত্যেক প্রার্থী নিজের অথবা তার দলের পছন্দ অনুযায়ী ইলেকটর মনোনয়ন দিতে পারে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের আর্টিকেল-২ এর দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী দেশটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রথা অনুযায়ী প্রতি চার বছর শেষে নভেম্বর মাসের প্রথম সোমবারের পরবর্তী মঙ্গলবার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। একজন ভোটার নিজের পছন্দের প্রেসিডেন্টের জন্য ভোট দেয়ার সময় একই সঙ্গে ইলেকটোরাল প্রতিনিধির জন্যও ভোট দেন। মূলত ভোটাররা ইলেকটর নির্বাচনের জন্য ভোট দেন। কারণ কাগজে-কলমে এ ইলেকটরদের ভোটেই নির্বাচিত হন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট।
জানুয়ারির ৬ তারিখে কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে ইলেকটোরাল ভোট গণনা করা হয়। সিনেটর সভাপতির তদারকিতে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ২০ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ গ্রহণ করেন।
এদিকে মর্কিন প্রেসিডেন্টদের নিয়ে বিভিন্ন ধরনের অদ্ভুত তথ্য রয়েছে। তারা নিজেরাও অদ্ভুতুড়ে ঘটনার জন্ম দিয়েছেন। গ্রোভার ক্লিভল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র প্রেসিডেন্ট, যার বিয়ে হয় হোয়াইট হাউসেই। টমাস জেফারসন হাঁটার দূরত্ব মাপার যন্ত্র পেডোমিটার, খাবার পরিবেশনের ঘূর্ণায়মান যন্ত্র লেজি সুসান ও ডাম্ব ওয়েটার বা ছোট লিফট আবিষ্কার করেন। আব্রাহাম লিংকন ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় একটি জটিল ডিভাইস আবিষ্কার করেন, যাতে বাতাস ঢুকিয়ে খরস্রোতা নদীতে নৌকা ভাসানো যেত। তিনি সবচেয়ে লম্বা প্রেসিডেন্টও, উচ্চতা ছয় ফুট চার ইঞ্চি। আবার তিনিই প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট, যিনি দাড়ি রেখেছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে স্বল্পশিক্ষিত ছিলেন অ্যান্ড্রু জনসন। স্ত্রীই তাকে পড়ালেখা শেখান। অন্যদিকে জেমস মনরো কলেজের গণ্ডিও পার হতে পারেননি। মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মাথা নুইয়ে অভিবাদন জানাতো সবাই। জেফারসন অতিথিদের সঙ্গে হ্যান্ডশেকের প্রথা চালু করেন। ফ্রাংকলিন প্রথম হোয়াইট হাউসে ক্রিসমাস ট্রি বসান। প্রেসিডেন্ট জেমস মেডিসন হাঁটু পর্যন্ত লম্বা পোশাকের বদলে ট্রাউজার পরিধানের প্রথা চালু করেন। অধিকাংশ প্রেসিডেন্টই শরীরচর্চা ও খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিতেন। ১৯৩২ ও ১৯৩৩ সালে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের জাতীয় চ্যাম্পিয়ন টিমগুলোর সঙ্গে ফুটবল খেলেছেন ফোর্ড।
প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি প্রতি মিনিটে দুই হাজার শব্দ পড়তে পারতেন। জন কুইন্সি অ্যাডামস রেশম পোকার চাষ করতেন। উইলিয়াম হাওয়ার্ড টাফট ছিলেন সবচেয়ে বিশালদেহী প্রেসিডেন্ট। তার ওজন ছিল ৩৫০ পাউন্ড। প্রেসিডেন্ট ইউলিসিস এস. গ্রান্টকে আইন অমান্য করার অপরাধে শাস্তি পেতে হয়েছিল। স্পিড লিমিটের ওপরে গাড়ি চালানোর অপরাধে তাকে বিশ ডলার জরিমানা করা হয়। প্রেসিডেন্ট রোনাল্ড রিগান একজন খ্যাতিমান চলচ্চিত্র অভিনেতা। জেমস মেডিসন মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেঁটে ছিলেন। তার উচ্চতা ছিল পাঁচ ফুট চার ইঞ্চি। রাফারফোর্ড বি. হেস প্রথম প্রেসিডেন্ট, যার আমলে প্রেসিডেন্ট বাসভবনে টেলিফোন সংযোগ দেওয়া হয়।
প্রেসিডেন্ট আইজেন হাওয়ার ভালো গলফ খেলতে পারতেন। কেনেডি দিনে দু’বার সাঁতার কাটতেন। রোনাল্ড রিগান প্রেসিডেন্টদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বয়সী ছিলেন। যখন তিনি হোয়াইট হাউস ত্যাগ করেন, তখন তার বয়স ছিল ৭৭ বছর। কেলভিন কোলিজ বিখ্যাত ছিলেন কম কথা বলার জন্য। এ নিয়ে একটি কৌতুকও প্রচলিত রয়েছে। একবার এক মহিলা বাজি ধরেন, প্রেসিডেন্টের কাছ থেকে দুইয়ের বেশি শব্দের কথা আদায় করার জন্য। ওই মহিলা এক অনুষ্ঠানে তার পাশে বসে বলেন, জনাব কোলিজ, আজ আপনাকে কথা বলতেই হবে। কারণ আমি বাজি ধরেছি, আপনার কাছ থেকে দুইয়ের অধিক শব্দের কথা আদায় করার। কিন্তু মহিলাটিকে হতাশ করে কোলিজ জবাব দিলেন, আপনি হেরেছেন। প্রেসিডেন্ট জেমস বুচানান ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র ব্যাচেলর প্রেসিডেন্ট।
প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন হ্যারিসনের সময়ে হোয়াইট হাউসে বৈদ্যুতিক বাতি লাগানো হয়। ওই বাতি দেখে বেঞ্জামিন ও তার স্ত্রী দুজনই প্রথমে বেশ ভয় পান। বেঞ্জামিন কখনো নিজ হাতে বাতি জ্বালাতেনও না। যুক্তরাষ্ট্রের একমাত্র কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মার্কিন সাময়িকী নিউজউইক এক প্রতিবেদনে তাকে প্রথম সমকামী প্রেসিডেন্ট হিসেবে ব্যঙ্গ করে। প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে তার ছবি দিয়ে শিরোনাম দেয়া হয়, দ্য ফার্স্ট গে প্রেসিডেন্ট। সমলিঙ্গের বিয়েতে সমর্থন দিয়ে এমন বিতর্কে পড়েন ওবামা।
প্রেসিডেন্টদের নিয়ে ব্যতিক্রমী গবেষণাও পরিচালিত হয়েছে। এক গবেষণায় দেখা যায়, মাথায় ধূসর চুল ও মুখে বেশি বলিরেখা নিয়েও প্রেসিডেন্টরা সাধারণ আমেরিকানদের চেয়ে বেশি দিন বাঁচেন। শিকাগোর ইলিনয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যাবিদ এস জে ওলশানস্কি প্রেসিডেন্টদের আয়ুসংক্রান্ত গবেষণাটি করেন। ক্ষমতায় আসার দুই বছরের মাথায়ই ওবামার চুল অনেক বেশি পেকে যায়, মুখে বলিরেখাও গভীর হয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমগুলোতে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এখান থেকেই প্রেসিডেন্টদের আয়ু নিয়ে গবেষণায় আগ্রহী হন ওলশানস্কি। জার্নাল অব আমেরিকার মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনে এ গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে উল্লেখ করা হয়, স্বাভাবিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছেন এমন ৩৪ জন প্রেসিডেন্টের মধ্যে ২৩ জনই প্রত্যাশিত সময়ের চেয়ে বেশি দিন জীবিত ছিলেন। গড়ে ৭৮ বছর বয়সে মারা গেছেন তারা। ধারণা করা হয়, তারা ৬৭ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারেন। সূত্র: ওয়েবসাইট।
প্রেসিডেন্টদের নামের তালিকা ও মেয়াদ কাল
১. জর্জ ওয়াশিংটন (১৭৮৯-১৭৯৭)
২. জন অ্যাডামস (১৭৯৭-১৮০১)
৩. থমাস জেফারসন (১৮০১-১৮০৯)
৪. জেমস মেডিসন (১৮০৯-১৮১৭)
৫. জেমস মনরো (১৮১৭-১৮২৫)
৬. জন কুইনিস অ্যাডামস (১৮২৫-১৮২৯)
৭. অ্যান্ড্র- জ্যাকসন (১৮২৯-১৮৩৭)
৮. মার্টিন ভ্যান বুরেন (১৮৩৭-১৮৪১)
৯. উইলিয়াম হ্যারিসন (১৮৪১)
১০. জন টেইলর (১৮৪১-১৮৪৫)
১১. জেমস নক্স পলক (১৮৪৫-১৮৪৯)
১২. জ্যাচারি টেইলর (১৮৪৯-১৮৫০)
১৩. মিলার্ড ফিলমোর (১৮৫০-১৮৫৩)
১৪. ফ্রাংকলিন পিয়ার্স (১৮৫৩-১৮৫৭)
১৫. জেমস বুচানন (১৮৫৭-১৮৬১)
১৬. আব্রাহাম লিংকন (১৮৬১-১৮৬৫)
১৭. অ্যান্ড্র- জনসন (১৮৬৫-১৮৬৯)
১৮. উলায়সেস এস গ্রান্ট (১৮৬৯-১৮৭৭)
১৯. রাদারফোর্ড রিচার্ড হায়েস (১৮৭৭-১৮৮১)
২০. জেমস আব্রাম গার্ফিল্ড (১৮৮১)
২১. চেস্টার অ্যালান আর্থার (১৮৮১-১৮৮৫)
২২. গ্রোভার ক্লিভিল্যান্ড (১৮৮৫-১৮৮৯)
২৩. বেঞ্জামিন হ্যারিসন (১৮৮৯-১৮৯৩)
২৪. গ্রোভার ক্লিভিল্যান্ড (১৮৯৩-১৮৯৭)
২৫. উইলিয়াম ম্যাককিনলে (১৮৯৭-১৯০১)
২৬. থিওডোর রুজভেল্ট (১৯০১-১৯০৯)
২৭. উইলিয়াম হাওয়ার্ড থফট (১৯০৯-১৯১৩)
২৮. উড্রো উইলসন (১৯১৩-১৯২১)
২৯. ওয়ারেন হার্ডিং (১৯২১-১৯২৩)
৩০. কেলভিন কোলিজ (১৯২৩-১৯২৯)
৩১. হার্বাট ক্লার্ক হোভার (১৯২৯-১৯৩৩)
৩২. ফ্রাংকলিন ডি রুজভেল্ট (১৯৩৩-১৯৪৫)
৩৩. হেনরি ট্রম্যান (১৯৪৫-১৯৫৩)
৩৪. ডেভিড আইসেনহাওয়ার (১৯৫৩-১৯৬১)
৩৫. জন এফ কেনেডি (১৯৬১-১৯৬৩)
৩৬. লিনডন জনসন (১৯৬৩-১৯৬৯)
৩৭. রিচার্ড নিক্সন (১৯৬৯-১৯৭৪)
৩৮. জেরাল্ড রুডলফ ফোর্ড (১৯৭৪-১৯৭৭)
৩৯. জেমস আল কার্টার (১৯৭৭-১৯৮১)
৪০. রোনাল্ড রিগান (১৯৮১-১৯৮৯)
৪১. জর্জ হার্বাট ওয়াকার বুশ (১৯৮৯-১৯৯৩)
৪২. উইলিয়াম জেফারসন ক্লিনটন (১৯৯৩-২০০১)
৪৩. জর্জ ওয়াকার বুশ (২০০১-২০০৯)
৪৪. বারাক হুসেন ওবামা (২০০৯-বর্তমান)।
গ্রন্থনা ও সম্পাদনা: এটিএস