
নিউজনেক্সট ডেস্ক: রোববার বিকেল ৪টার দিকে গুলশান-১ নম্বর গোলচত্বরের কাছে গুলশান শপিং সেন্টারের নিচে গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। আহত হয় পথচারী আমিনুল ইসলাম এবং ভ্যানচালক আবদুর রহিম মিয়া।
গুলি করার জন্য স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আবদুল ওয়াহিদ, ও সঙ্গে তার দুই সহযোগী মো. আরিফ হোসেন (২৪), মনির আহমেদকে (৩৫) আটক করা হয়। একই সাথে মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা দোকানমালিক হাবিবুর রহমান আলিম (৩৫) এবং স্থানীয় দোকানি মো. খলিলকে (১৮) আটক করেছে পুলিশ।
গুলশান বিভাগের উপকমিশনার আবদুল আহাদ সাথে কথা হয় নিউজনেক্সট প্রতিবেদকের, তিনি বলেন, আর্থিক লেনদেন নিয়ে বিরোধের জের ধরে গুলির ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। যিনি গুলি করেছেন, তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কুমিল্লার লাকসাম থেকে আরিফ হোসেন নামে এক যুবক ঢাকায় আসেন। গতকাল দুপুরে তিনি গুলশান-১ নম্বরে ডিএনসিসি মার্কেটের পেছনের আলফা স্টোরে গিয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৭৫ হাজার টাকা পাঠান। তবে সংশ্নিষ্ট এজেন্টকে তিনি টাকা পরিশোধ করেননি। এ নিয়ে এজেন্টের সঙ্গে তার বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাকে আটকে রাখেন ব্যবসায়ীরা। তখন তিনি তার পূর্ব পরিচিত গুলশান থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতাকে ফোন করে সহায়তা চান।
আরও পড়ুন : ইন্টারনেটের গতিতে সাত ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ এখন ১১৯তম
তিনি জানান, টাকা ‘আত্মসাতের’ পর তাকে মারধর করছেন ব্যবসায়ীরা। তখন ওই নেতা তার সঙ্গে থাকা আবদুল ওয়াহেদ মিন্টুকে নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। বিকেল ৩টার দিকে তারা গিয়ে আরিফকে মারধরের কারণ জানতে চান। মারধরকারীকে পুলিশে সোপর্দ করা হবে বলে ভয় দেখান। সেইসঙ্গে আরিফকে তাদের হেফাজত থেকে নিয়ে আসার চেষ্টা চালান। এ সময় ব্যবসায়ীরা বাধা দিলে দুই পক্ষে হাতাহাতি হয়। এর একপর্যায়ে মিন্টু তার সঙ্গে লাইসেন্স করা পিস্তল বের করে দুই-তিন রাউন্ড গুলি ছোড়েন।
গুলি রাস্তায় লেগে গতিপথ বদলে দুই পথচারীর পায়ে বিদ্ধ হয়। তাদের একজন গাড়িচালক আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থলের পাশের গ্লোরিয়া জিন্স নামের কফিশপে তার মনিবকে নিয়ে গিয়েছিলেন। অপরজন আবদুর রহিম মিয়া পেশায় ভ্যানচালক। তাদের উদ্ধার করে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে নেওয়া হয়। তাদের মধ্যে আবদুর রহিম প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাসায় চলে যান।