
ঢাকা: আল্লাহ তাআলার সর্বাধিক নৈকট্য অর্জন করতে বান্দাকে ফরজ ইবাদাত-বন্দেগি করতে হয়। আর আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সব মানুষের জন্য কার্যকরী ফরজ ইবাদাত হলো নামাজ এবং রোজা। তাই ফরজ নামাজ এবং রমজানের রোজা পালনের মাধ্যমেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করা সম্ভব। কেননা আল্লাহ তাআলা কুরআনে রমজান মাসকে হিদায়াত লাভের মাস হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
‘রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তারাবি নামাজ’
রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেক গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হলো তারাবি নামাজ। বরকতময় এ মাসে তারাবির নামাজ যথাযথ যত্নের মাধ্যমে আদায় করা অতিব জরুরি। সর্বোত্তম হচ্ছে এ নামাজে দণ্ডায়মানরত অবস্থায় কুরআন তিলাওয়াত এবং শ্রবণ।
পরিপূর্ণ কুরআন নাজিলের পূর্বে আল্লাহ তাআলা প্রত্যেক রমজান মাসে লাওহে মাহফুজ থেকে প্রথম আসমানে নাজিল হতো তাই কুরআন মাজিদের তিলাওয়াত শ্রবণের জন্য তারাবি নামাজের প্রতি গুরুত্ব দেয়া প্রয়োজন।
‘তারাবি নামাজ ছাড়াও রমজানে অন্যান্য সময়েও তারতিলের সহিত কুরআন তিলাওয়াত করা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত’
তারাবি নামাজ ছাড়াও রমজানে অন্যান্য সময়েও তারতিলের সহিত কুরআন তিলাওয়াত করা অনেক ফজিলতপূর্ণ ইবাদাত। কারণ এই কুরআন তাঁর তিলাওয়াতকারীর জন্য হবে সাক্ষী ও সুপারিশকারী।
রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেকটি মাধ্যম হলো তাহাজ্জুদ নামাজ। হাদিসে এ নামাজের অনেক ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। যেহেতু রমজান মাস জুড়ে সেহরি খাওয়ার জন্য প্রত্যেক মানুষকে সুবহে সাদিকের পূর্বে ওঠতে হয়; তাই সহজেই তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা যায়। আর আল্লাহ তাআলা ঐ সময় দুনিয়ার আকাশে এসে মানুষকে রিযিকদান, গোনাহ মাফ, কল্যাণদান করেন।
‘রমজানে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেকটি মাধ্যম হলো সাধ্যমতো দান-সদকা করা’
এ মাসে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের আরেকটি মাধ্যম হলো সাধ্যমতো দান-সদকা করা। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ মাসে অনেক বেশি দান-সদকা করতেন। তিনি বলতেন, ‘দান-সাদকায় বালা-মুসিবত দূর হয়ে কল্যাণ সাধিত হয়।’
যেহেতু এ মাসে শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় সুতরাং উল্লেখিত নেক আমলগুলো করার পাশাপাশি গোনাহ থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করাও প্রত্যেকের জন্য অপরিহার্য।
‘রমজান মাস হচ্ছে তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনের মাস’
রমজান মাস হচ্ছে তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনের মাস। আর তাকওয়া ও পরহেজগারী অর্জনের জন্যই আল্লাহ তাআলা রমজানের রোজাকে ফরজ করেছেন। হাদিস থেকে জানা যায়, গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা ছাড়া রোজা পরিপূর্ণ হয় না।
তাই রমজানের রহমত বরকত মাগফিরাত লাভ করতে হলে মুসলিম উম্মাহকে উপরোল্লিখিত ইবাদাত-বন্দেগির পাশাপাশি সকল প্রকার গোনাহ থেকে বেঁচে থাকা সর্বাত্মক চেষ্টা করা। তবেই আল্লাহ তাআলা নিজ অনুগ্রহে তাঁর বান্দাহকে তাকওয়া ও পরহেযগারীর শক্তি দান করেন।
আল্লাহ তাআলা উম্মাতে মুসলিমাকে রমজানের সকল বিধি-নিষেধ পালন করার তাওফিক দান করুন। আমিন।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/জানি/টিএস