
ডেস্ক: বছরের অন্য সব মাসের চেয়ে রমজান মাসের সময়টায় প্রতিদিনের অনেক অভ্যাস-ই বদলে যায়। তার মধ্যে সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আসে খাদ্যাভ্যাস ও তার সময় সূচিতে। কখনো কখনো এই পরিবর্তিত নিয়মের কারণে নানা ধরনের স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা দেখা দেয়।
রোজার সময় সারাদিন না খেয়ে থাকার কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। ফলে দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, ক্লান্ত মনোভাব, শরীরে কাঁপুনি ইত্যাদি সমস্যা দেখা দেয়। তাই রোজার সময় শরীর ঠিক রাখতে প্রচুর পরিমাণে ফলের জুস ও নানা ধরনের ফল দিয়ে ইফতারি সাজানো যেতে পারে। যেখানে খেজুর, আপেল, কমলা, কলা কিংবা মালটার মতো ফল থাকতে পারে।
ফলের মধ্যে অন্যতম হতে পারে আম। কারণ অন্যসব ফলের মধ্যে পাকা আমে সবচেয়ে বেশি ক্যারোটিন থাকে। ক্যারোটিন রাতকানা ও অন্ধত্ব প্রতিরোধ এবং চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করে। পাকা আমের রস ল্যাকজেটিভ, রোচক ও টনিক বা বলকারকের কাজ করে। এছাড়াও আম যকৃতের জন্য উপকারী। কাঁচা আমে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ থাকায় ত্বক ও দাঁতের জন্য খুব উপকারী।
আনারসও থাকতে পারে রমজানের খাবারের তালিকায়। আনারসে ব্রমেলিন নামক হজমকারক পদার্থ থাকে। এর রস গলা ব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের সমস্যার জন্য উপকারী। খাদ্য তালিকায় থাকতে পারে তরমুজ। তরমুজের রস জ্বর, সর্দি, ঠাণ্ডা দূর করে। লেবুর রসের সঙ্গে মিলিয়ে তরমুজ খেলে শরীরে বাড়তি অ্যাসিড দূর হয়।এছাড়া ইফতারের ফলের তালিকায় বেল, পেঁপে, পাকা কলা, কমলা ও তেঁতুল থাকতে পারে। এসব খেলে শরীর সুস্থ থাকে।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসপিকে/এসজি