
ঢাকা: নতুন বছর, নতুন শ্রেণী, নতুন উদ্যোম। সাথে নতুন বই আর হাজারো তথ্য। নতুন বইয়ের ঘ্রাণ মিলবে রাত পোহালেই। ৪ কোটি ৩৩ লাখ ৫৩ হাজার ২০১ জন শিক্ষার্থীর হাতে এবার ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার বই ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হবে। এ যেন নতুন বছরে দেশের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সবচেয়ে সবচেয়ে দামি উপহার।
টানা অষ্টমবারের মত প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণে সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছে সরকার। শনিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে কয়েকজন শিক্ষার্থীর হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০১৭ সালের বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের স্বল্প পরিসরে অনেক আগে থেকেই বই দেয়া হলেও ২০১০ সাল থেকে সরকার প্রথম থেকে নবম শ্রেণির সব শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে বই দিয়ে আসছে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) সূত্রে জানা গেছে, এবার গত বছরের তুলনায় ২০১৭ সালে দুই কোটি ৮৪ লাখ ১৯ হাজার ৪৭৩টি বেশি বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক বিতরণ করা হবে।
এবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ঢাকায় হবে দুটি কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠান।১ জানুয়ারি সকাল সাড়ে ৯টায় আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ মাধ্যমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন। এই উৎসবে যোগ দেবে ঢাকার ৩১টি বিদ্যালয়ের ৫ হাজার শিক্ষার্থী।
একই দিন সকাল ১০টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক স্তরের পাঠ্যপুস্তক উৎসবের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষামন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার।
এ বছর সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের ব্রেইল বই, পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর শিশুদের নিজেদের ভাষায় লেখা প্রাক-প্রাথমিকের বই ও শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষকদের শিক্ষক নির্দেশিকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র সাহা।
এনসিটিবি কর্মকর্তারা জানান, এবার ৯ হাজার ৭০৩ জন দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীকে ব্রেইল বই এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ২৪ হাজার শিশুদের তাদের নিজেদের ভাষায় লেখা বই দেওয়া হবে।
শুক্রবার বই উৎসব সম্পর্কে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, গতবার ১ জানুয়ারি শুক্রবার ছিল, তারপরও আমরা সব স্কুলে একযোগে ওই দিন শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছি। এবারও ১ জানুয়ারি বই উৎসব করা হবে। ইতিমধ্যে সব স্কুলে বই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিবেদন: ময়ূখ, সম্পাদনা: জাবেদ