
রাবি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীদের নির্মিত স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘অন্ত্যেষ্টি’ আন্তর্জাতিক চিলড্রেন’স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘ইয়াং ট্যালেন্ট’ পুরস্কার অর্জন করেছে। ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী নির্মাতাদের তৈরি চলচ্চিত্র এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। বিভাগের ৩০ জন শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণ ও শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। এছাড়া বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়ে পুরস্কৃতও হয়েছে।
এর আগে আমেরিকার ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া স্যান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয় আয়েজিত ‘শান্তির স্বপক্ষে আমরা’ শীর্ষক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় চলচ্চিত্রটি দ্বিতীয় স্থান লাভ করে। এছাড়াও সাউথ এশিয়ান শর্টফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ আরো কিছু জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সিনেমাটি প্রদর্শনীর অপেক্ষায় রয়েছে।
চলচ্চিত্রে দেখানো হয়েছে মুসলিম প্রধান গ্রামে এক হিন্দু পরিবারের বসবাস। হঠাৎ এক রাতে সেই পরিবারের একমাত্র পুরুষ লোকটি মারা যান। পরিবারের আর কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় মরদেহ সৎকারে বিপাকে পড়ে পরিবারটি। ধর্মীয় নানা বিধি-নিষেধের কারণে কোনো মুসলমান পুরুষও আসে না মরদেহটি সৎকার করতে। যদিও দুই একজন মুসলমান যুবক লাশ সৎকারের আগ্রহ দেখায়; পাড়ার মোড়লদের কাছে সেই আগ্রহ জায়গা পায় না। সমস্যা সমাধানের জন্য গ্রামের মাতব্বররা সভা করেন। কিন্তু সমস্যার সমাধান হয় না। শেষে কোনো উপায় না পেয়ে এবং ধর্মীয় নিষেধ থাকা সত্ত্বেও রাতের অন্ধকারে হিন্দু পরিবারের নারীরাই মরদেহ সৎকার করেন।
চলচ্চিত্রটির পরিচালক এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী তানজিনা রহমান তাসনিম বলেন, ‘এবারের ১১তম আন্তর্জাতিক চিলড্রেন’স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘বাংলাদেশ ইয়াং ট্যালেন্ট’ বিভাগে প্রথম পুরস্কার পেয়েছে ‘অন্ত্যেষ্টি’। এ বিভাগে মোট ২২টি চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।’
চলচ্চিত্রটির তত্ত্বাবধায়ক এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের প্রভাষক আব্দুল্লাহীল বাকী জানান, ভারতের মালদার শেখপুরা নামের এক মুসলমান-প্রধান গ্রামে বিশ্বজিত রজক নামের এক হিন্দু ব্যক্তির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এ ধরনের একটি সংকট সৃষ্টি হয়েছিল। সেই প্রেক্ষাপটকে কেন্দ্র করেই ‘অন্ত্যেষ্টি’ নির্মিত। ‘অন্ত্যেষ্টি’র এই অর্জন নবীন নির্মাতাদের স্বপ্ন দেখাতে সাহায্য করবে।
প্রতিনিধি, সম্পাদনা: জাই