
ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারের কারণে তা চালু হলে সুন্দরবনের ওপর কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ)’র বার্ষিক সম্মেলন এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন বলে শেখ হাসিনা বুধবার সংসদে উল্লেখ করেন। তিনি তার জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে জাতীয় পার্টির নূরুল ইসলাম মিলনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অর্জন, সাফল্য এবং বিনিয়োগ সম্ভাবনার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে আলোকপাত করা এবং বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক ইস্যুতে, বিশেষ করে অর্থনীতি ও বাণিজ্য ক্ষেত্রে বাংলাদেশের স্বার্থ আরো সুদৃঢ় করার লক্ষ্যে ডব্লিউইএফ বার্ষিক সম্মেলনে অংশগ্রহণ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব শান্তি, নিরাপত্তা, উন্নয়ন ও অগ্রগতি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে ভবিষ্যতে নীতি নির্ধারণী এ সম্মেলনে অংশগ্রহণ বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে উচ্চতর সম্মানের আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। পাশাপাশি বিশ্বের শীর্ষ বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে যথেষ্ট আগ্রহী করা সম্ভব হয়েছে।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্মেলনে ‘শেপিং এ নিউ ওয়াটার ইকোনমিক’ সেশনে শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা, কর্মক্ষেত্রে সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা এবং শিল্প কারখানা গুলিতে যথাযথ পরিবেশগত মান বজায় রাখার ক্ষেত্রে সরকারের আন্তরিকতা ও গৃহীত পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করা হয়।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ওয়ার্ল্ডস আনডার ওয়াটার’ সেশনে জনগণের মাঝে পারস্পরিক বিশ্বাসের ভিত্তিতে এবং আন্তঃ সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে পানির সুষ্ঠু ও সুষম ব্যবস্থাপনা রাষ্ট্রীয় নিশ্চিত করার ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। ভারত ও মিয়ানমারের সাথে বাংলাদেশের সুমদ্রসীমা নির্ধারণ এবং বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে সম্পাদিত গঙ্গা পানি চুক্তির কথা বিশেষভাবে সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘ডাভোস সম্মেলনের বিভিন্ন প্যানেল ও সেশন আলোচনায় অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি ডব্লিউইএফ’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী চেয়ারম্যানের সাথে বৈঠকে তিনি মিলিত হন। এ বৈঠকে অধ্যাপক ক্লাউস শোয়াব আর্থ-সামাজিক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব সাফল্যের কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশ সরকারের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।’
গ্রন্থনা: সজিব ঘোষ