
ঢাকা: রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্পকে জনবিরোধী উল্লেখ করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই।
বুধবার বিকেলে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া বলেন, জনগণের চাহিদা মেটানোর জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন সময়ের দাবি। কিন্তু সেই উদ্যোগ বাস্তবায়নে জনস্বার্থ বা জাতীয় স্বার্থ বিসর্জন দেয়ার কোনো সুযোগ নেই। এজন্য বিকল্প বিদ্যুৎ ও জ্বালানির সন্ধানের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ প্রয়োজন, তবে তা দেশের স্বার্থের পরিপন্থী ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হলে তা অবশ্যই দেশবিরোধী। বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের জায়গা অনেক আছে। তবে সুন্দরবনের কোনো বিকল্প নেই।
খালেদা বলেন, ‘কার স্বার্থে সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে চায়? এর কোনো সদুত্তর নাই। এজন্য যারা এর বিরোধিতা করছে তাদের লাঠিপেটা করছে সরকার।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘ রামপাল প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে কয়লা বাতাসে মিশে বায়ু দূষিত করবে। রাতে জাহাজের সার্চ লাইটের আলোতে ওখানকার জীববৈচিত্র ধ্বংস হবে।’
খালেদা বলেন, একদিকে পদ্মা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্র পানি প্রবাহ মারাত্মকভাবে কমে গেছে। দক্ষিণাঞ্চলে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপিত হলে সুন্দরবন ধ্বংস হলে বাংলাদেশ আর বাসযোগ্য থাকবে না।
তিনি বলেন, এ প্রকল্পে ভারত ১৫ শতাংশ বিনিয়োগ করে নিয়ে যাবে ৫০ শতাংশ মুনাফা। অন্যদিকে প্রকল্পের কোনো প্রকার ক্ষতি হলে পুরো ব্যয় বহন করতে হবে বাংলাদেশকে।
গণমাধ্যমের উদ্দেশে বলেন, ‘এই বিষয়টা আমাদের সকলের। এটা শুধু বিএনপি, আওয়ামী লীগ অথবা অন্য কারও বিষয় নয়, এটা সারাদেশের বিষয়। সেজন্য আজকে কোনো প্রশ্ন না করে রামপালের বিষয়টি আপনারা দেশবাসীর কাছে তুলে ধরুন। এটা আমরা অনুরোধ।’
এসময়ে বিএনপির মহাসচিব মিজা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড,খন্দকার মোশাররফ হোসেন,তরিকুল ইসলাম,গয়েশ্বর চন্দ্র রায়,নজরুল ইসলাম খান, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী উপসস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২০ দলীয় জোটের নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাগপার শফিউল আলম প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, এলডিপির রেদোয়ান আহমেদ, এনডিপির খোন্দকার গোলাম মূর্তজা, এনপিপির ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, ইসলামী ঐক্যজোটের মাওলানা আবদুল করিম খান, খেলাফত মজলিশের আহমেদ আবদুল কাদের, ন্যাপের গোলাম মোস্তফা ভুঁইয়া, ইসলামিক পার্টির আবুল কাশেম, মুসলিম লীগের জুলফিকার বুলবুল চৌধুরী, পিপলস লীগের সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডিএল’র সাইফুদ্দিন মনি।
প্রতিবেদন-ময়ূখ ইসলাম, সম্পাদনা- জাহিদুল ইসলাম