
সিরাজগঞ্জ: যাত্রীবাহী বাস থেকে ফেলে দেয়া অজ্ঞাত প্রতিবন্দী যুবতী (১৮) ক্ষত নিয়ে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
গত ১৬ দিন সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মহিলা সার্জারি ওয়ার্ডের বারান্দায় পড়ে থাকলেও তার পরিবারের খোাঁজ মেলেনি। সে কথা বলতে পারে না। এতে বিপাকে পড়েছেন পুলিশ ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ রয়েছে। চিকিৎসকের ধারণা ক্যামিকেল অথবা গরম পানি দিয়ে তার শরীর পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ক্ষত চিহৃ নিয়ে গত ১৭ ডিসেম্বর দুপুরে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় অজ্ঞাত প্রতিবন্ধী এক যুবতীকে।
হাসপাতালে রেজিস্ট্রার বইতে বাহক হিসেবে সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার হোসেনপুর মহল্লার বাস শ্রমিক আব্দুল মান্নানের নাম ও মোবাইল নাম্বার উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয়রা ধারণা করছেন মেয়েটি ঢাকায় কোনো বাসা বাড়িতে কাজ করতো। বাড়ির মালিক তাকে নির্যাতন করে কড্ডার মোড়ে ফেলে রেখে গেছে।
এ ব্যাপারে বাস শ্রমিক আব্দুল মান্নান জানান, গত ১৬ ডিসেম্বর রাতে যাত্রীবাহী একটি বাস থেকে অজ্ঞাত যুবতীকে বঙ্গবন্ধু যমুনা সেতু পশ্চিম সংযোগ সড়কের কড্ডার মোড়ে ফেলে যায় কোনো এক ব্যক্তি। ১৭ ডিসেম্বর সকালে কড্ডার মোড়ে তাকে ঘিরে উৎসুক জনতা ভিড় করছে দেখে আমি সেখানে যাই। এসময় দেখতে পাই তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে এসিড দিয়ে পুড়িয়ে ফেলার মতো ক্ষত চিহৃ।
স্থানীয় লোকজন তার চিকিৎসার জন্য বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে টাকা তুলছে। পরে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ড্রাইভার মুকুলকে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স এনে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে দেই।
সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, মেয়েটির শরীরের পোড়া ক্ষত চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে ক্যামিকেল জাতীয় পদার্থ অথবা গরম পানি দ্বারা তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে ঝলসে দেয়া হয়েছে। তবে কিভাবে এবং কখন ঘটেছে তা বলা যাচ্ছে না। মেয়েটি কথা বলতে পারে না। তবে তাকে ভালো চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এখন তার শারীরিক অবস্থা উন্নতির দিকে।
সিরাজগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন জানান, এটি সিরাজগঞ্জ জেলার ঘটনা নয়। ঢাকা থেকে যাত্রীবাহী একটি কোচ থেকে মেয়েটিকে কড্ডার মোড়ে ফেলে রেখে যায়। পরে বাস মালিক ও শ্রমিকদের সহায়তায় মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শরীফ আহমদ ইন্না (সিরাজগঞ্জ), সম্পাদনা: জাহিদ