
চট্টগ্রাম: আলবদর কমান্ডার ও জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ডের বিরুদ্ধে করা রিভিউ খারিজ হওয়ায় কুখ্যাত ডালিম হোটেলে নির্যাতিতদের পরিবার এখন এই রায় কার্যকরের অপেক্ষায় প্রহর গুণছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দেয়া মৃত্যুদণ্ডের রায় রিভিউ করার জন্য মীর কাসেম আলীর আবেদন মঙ্গলবার খারিজ করে দেন সুপ্রিম কোর্ট। মূলত: চট্টগ্রামের কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিম উদ্দিন হত্যার অভিযোগে এই আল বদর কমান্ডারকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
জসিম উদ্দিন আহমদের মামাতো বোন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক অধ্যাপিকা হান্নানা বেগম সুপ্রিম কোর্টের এই সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, ‘আজ আমাদের আনন্দের দিন, এত বছর পর একটি অন্যায়ের বিচার হয়েছে, এখন আমরা এই রায় কার্যকরের অপেক্ষায় প্রহর গুণছি’।
জসিম উদ্দিনের বড় ভাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক শিক্ষক ড. রাজিব হুমায়ুনের ছেলে কায়সার রাজিব বলেছেন, ‘নানা ঘটনার পর এই রায় এসেছে, এই রায় কার্যকর হবে এটাই প্রত্যাশা।’
ডালিম হোটেলে ২৩দিন ধরে আটক রেখে নির্যাতন করা হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর চৌধুরীকে। মীর কাসেমের রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, ‘আজ মহান আল্লাহর দরবারে কৃতজ্ঞতা প্রকাশের দিন, জুলুম অন্যায়ের বিচার পেয়েছি।’
‘আনন্দ উল্লাসের পরিবর্তে মাজারে মিলাদের আয়োজন করবো, মিসকিন খাওয়াবো, আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাবো’- উল্লেখ করেন তিনি।
জাহাঙ্গীর চৌধুরী আরো বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধের বিচারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, তিনি সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন’ প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ।
২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে কিশোর মুক্তিযোদ্ধা জসিমসহ মোট আটজনকে হত্যার দায়ে মীর কাসেমের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ এসেছিল। ২০১৬ সালের ৮ মার্চ আপিল বিভাগ জসিমকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। এছাড়া আরও বিভিন্ন অভিযোগে পৃথকভাবে মোট ৫৮ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয় জামায়াতের অর্থের জোগানদাতা মীর কাসেমকে।
প্রতিবেদন: সালেহ নোমান, সম্পাদনা: মাহতাব শফি