
ঢাকা: নিজের কোন ত্রুটি নয়, রিজার্ভ চুরিতে বৈশ্বিক অর্থ লেনদেন পদ্ধতিকেই দায়ী করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান। যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাথে এক সাক্ষাতকারে এমন দাবি করেন তিনি।
‘রিজার্ভ চুরিতে বৈশ্বিক পদ্ধতিকে দায়ী করলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান’ শিরোনামে ২২ জুন বিষয়টি নিয়ে খবর প্রকাশ করেছে পত্রিকাটি। এতে বলা হয়, সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান দাবি করেছেন, নিউ ইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ক্ষেত্রে অর্থ লেনদেনের বৈশ্বিক পদ্ধতি (সুইফট) দায়ী। তার কোন ত্রুটি বা অনিয়ম এতে নেই।
আতিউর রহমান বলেন, সাইবার নিরাপত্তাকে এক বছর আগেই শীর্ষ এজেন্ডা হিসেবে নিয়েছিলেন তিনি। তবে দুর্ভাগ্য যে তারপরই রিজার্ভ চুরির মতো ঘটনা ঘটে গেছে।
রিজার্ভ চুরিতে নিজের কোন দোষ নেই দাবি করে সাবেক গভর্নর বলেন, ‘আমি কোন ভুল বা অনিয়ম করিনি। গভর্নর হিসেবে প্রতিটি ছোটখাটো বিষয় তো আমি দেখতে পারি না।’ তিনি বলেন, সম্ভবত কোন কর্মকর্তার পাসওয়ার্ড দিয়েই রিজার্ভ থেকে অর্থ সরানোর আদেশ গেছে।
রিজার্ভ চুরির ঘটনা সরকারকে সঠিক সময়ে জানাতে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে আতিউর বলেন, ‘আমি চেয়েছি দেশের ভাবমূর্তি ও আর্থিক পদ্ধতিকে রক্ষা করতে। এটা একটা (সরকারকে সময়মত না জানানো) ভুল হতে পারে। তবে এটা অপরাধ নয়।
তিনি যোগ করেন যে, ‘মানুষের এই প্রত্যাশা করা উচিত নয় যে, আমি টেকনিক্যালভাবে খুবই স্মার্ট এবং যা ঘটেছে শুরু থেকেই তা আমি জানি।’
ফেব্রুয়ারি মাসের ৯ তারিখে বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়। ওই টাকা চলে যায় ফিলিপাইনের ক্যাসিনোতে। একমাস পর ফিলিপাইনের একটি পত্রিকার মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পারে বাংলাদেশ।
এতে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হলে শেষ পর্যন্ত গভর্নর ড. আতিউর রহমার পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। সাবেক গভর্নর বৈশ্বিক অর্থ লেনদেন পদ্ধতিকে রিজার্ভ চুরির জন্য দায়ী করলেও অর্থ লেনদেন কর্তৃপক্ষ সুইফট ও নিউ ইয়র্ক ফেডারেল রিজার্ভের মুখপাত্ররা আতিউরের অভিযোগ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকার করেছে।
এদিকে ফিলিপাইনের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি করে ফিলিপাইনে পাচারের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করেছে দেশটির এন্টি-মানি লন্ডারিং কাউন্সিল বা এএমএলসি। তবে এখন আদালতের বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন তারা।
নিউজনেক্সটবিডি ডটকম/এসআই